রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
জিনজিয়ানের মহামারি প্রতিরোধ কেন্দ্রে এক উইঘুর ফ্যাশন মডেলকে আটক করে রাখার ঘটনায় নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, ওই মডেলকে বৈধভাবেই আটক করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি করেছে চীন।
মেরদান ঘাপ্পার নামের ওই ফ্যাশন মডেল এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরিবারের কাছে তার দুর্দশার ভিডিও এবং কিছু টেক্সট মেসেজ পাঠান। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মহামারি প্রতিরোধ কেন্দ্রের শয্যার সঙ্গে হাতকড়া পরিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে তাকে। ঘাপ্পার জানান, প্রথমে তাকে ১৮ দিন শেকলবন্দি করে রাখা হয়েছিল, এরপর তাকে জেলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার তাকে মহামারি প্রতিরোধ কেন্দ্রে আইসোলেশনে রাখা হয়। আর সেখানে নিজেই নিজের ভিডিও ধারণ করেন ওই মডেল। ভিডিও ও টেক্সট মেসেজগুলো বিবিসির কাছে হস্তান্তর করে পরিবার। এ মাসের শুরুর দিকে সেগুলো প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। এর মধ্য দিয়ে জিনজিয়ানের গোপনীয় আটক ব্যবস্থার ভেতরকার বিরল চিত্র সামনে এসেছে।
স্বজনদের অভিযোগ, মাদক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ফোশান শহরে ১৬ মাসের সাজা ভোগের পর ৩১ বছর বয়সী মেরদান ঘাপ্পারকে জানুয়ারিতে জোর করে জিনজিয়ানের পশ্চিমাঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘাপ্পার ফোশান শহরে বাস করতেন এবং সেখানেই পোশাকের মডেলিং করতেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন-সংবলিত একটি তালিকা পাঠায় বিবিসি। এবার সেসব প্রশ্নের লিখিত জবাব দিয়েছে জিনজিয়ান সরকারের প্রেস অফিস। তাদের দাবি, মেরদানকে আটকের ঘটনা অবৈধ নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীনের কারা আইনের ৩৭ ধারা অনুযায়ী, মুক্তি পাওয়া কারাবন্দিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সরকার। মেরদান ঘাপ্পারকে স্থানান্তরের সময় নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করে এবং পুলিশের সঙ্গেও জোর জবরদস্তি চালায়। তাকে থামাতে পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল। তার মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পর সে ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।’
মেরদান ঘাপ্পার তাকে শেকলবন্দি করে রাখাসহ যেসব নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন সেগুলোর ব্যাপারে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি জিনজিয়ান কর্তৃপক্ষ।