শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন

আজ রক্ত ঝড়া ২১ আগষ্ট

আজ রক্ত ঝড়া ২১ আগষ্ট

0 Shares

ইন্দুরকানী বার্তা ডেস্ক:
২১ আগস্ট। ইতিহাসের ভয়াল ও বিভীষিকাময় গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী আজ। রাজননৈতিক ইতহিাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। ২০০৪ সালরে এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভনিউিতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবেিরাধী শান্তি সমাবেশে (সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতবিরোধী) অকল্পনীয় এক নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসনিা এবং আওয়ামী লীগের র্শীষ স্থানীয় কয়েকজন নেতা সেদিন অল্পের জন্য এই ভয়াবহ হামলা থেকে বেচে যান। কিন্তু নারকীয় এ হামলা থেকে রেহাই পায়নি তৎকালীন মহলিা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন।
মূলত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত তথা চার দলীয় জোট সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলা চালায়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন র্কমসূচি গ্রহণ করেছে। গ্রেনেডে হামলায় নিহতদের স্মরণে দলের নেতা কর্মীরা বঙ্গবন্ধু এভনিউিস্থ কেদ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বেদীতে পুর্ষ্পাঘ্য নিবেদন করবেন।
এই হামলায় আরো ৪শ জন আহত হন। আহতদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পাননি। দেশের বৃহৎ এই রাজনৈতক সংগঠন আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে এ হামলা করা হয়েছিল।
ঢাকার তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এবং শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাৎক্ষণিকভাবে এক মানব বলয় তৈরি করে নিজেরা আঘাত সহ্য করে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেডের হাত থেকে রক্ষা করেন।
২০০৪ সালরে ২১ আগস্টের এই হত্যাকান্ড এর ব্যাপারে তৎকালীন বিএনপি সরকার নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করেছিল। শুধু তাই নয়, এ হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের রক্ষা করতে সরকারের কর্মকর্তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে।
এই হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তি অথবা গোষ্ঠীর সন্ধানদাতার জন্য সে সময় বিএনপি সরকারের প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুরজ্জামান বাবর এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছলিন। হামলার পর বাবরের তত্ত্¦াবধানে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং এতে জজ মিয়া নামে এক ভবঘুরে, একজন ছাত্র, একজন আওয়ামী লীগের কর্মীসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তোর করা হয়। অথচ পরবর্তী তদন্তে তাদের কারো বিরুদ্ধেইে অভিযোগ প্রমাণতি হয়নি।
পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেডে হামলা মামলাটি নতুনভাবে তদন্ত শুরু হয়। র্দীঘ প্রতীক্ষা শেষে ২০১৮ সালরে ১০ অক্টোবর ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বচিার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দনি আলোচতি গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করনে। এতে সাবকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে গত বছররে ১০ অক্টোবরে রায় দেন বিচারিক আদালত।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap