বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। তিনি ডায়াবেটিসসহ নানা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
রাহাত খানের পারিবারিক সূত্র তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খানের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তাদের নিকট আত্মীয় সাংবাদিক দেলোয়ার হাসান ফোন রিসিভ করেন। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় বাসাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাহাত খান। ওনার শেষ ইচ্ছা ছিল মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা। আমরা দায়িত্বশীল সংস্থার সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। রাতে মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।
এছাড়া রাত সোয়া ৯টার দিকে অপর্ণা খান নিজের ফেইসবুক প্রোফাইলেও রাহাত খানের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
গত ২০ জুলাই রাহাত খানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন বাসায় খাট থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ব্যথা পান তিনি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করা হলে পাঁজরে গভীর ক্ষত ধরা পড়ে। এর পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। যার জন্য তার চিকিৎসা প্রক্রিয়াটা জটিল হয়ে পড়ায় সার্জারি করা যাচ্ছিল না বলে বাসাতেই অবস্থান করছিলেন।
রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা এর আগে দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকেরা ২৯ জুলাই আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালে থেকে কোনো লাভ হবে না। ডায়েবেটিস, কিডনি, হার্টে সমস্যা থাকার কারণে কোনো সার্জারি করা যাবে না। এজন্য বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় রাহাত খানকে।
রাহাত খান বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাশিল্পী। ছোটগল্প ও উপন্যাস উভয় শাখাতেই তার অবদান উল্লেখযোগ্য। সাংবাদিক হিসেবেও রাহাত খানের অবদান উল্লেখযোগ্য। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় তিনি ষাটের দশক থেকে কর্মরত ছিলেন। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন। বিখ্যাত সিরিজ মাসুদ রানার রাহাত খান চরিত্রটি তার অনুসরণেই তৈরি করা।