বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
ইন্দুরকানী বার্তা ডেস্ক: বন্যার পর পিরোজপুরে নদী ও খালের পানি কমলেও মাঠে থাকা পাকা আউশ ধানের ক্ষতির আশংকা করছেন চাষিরা। এছাড়া আমন ধান রোপণের সময় পিছিয়েছে অন্তত দুই সপ্তাহ। তাই সময় মতো আমন ধানের চারা রোপণ করতে না পারায়, এর নেতিবাচক প্রভাব ফলনের উপর পড়বে বলেও আশংকা তাদের।
বিগত কয়েক দিয়ের টানা বর্ষা ও নদীতে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে পিরোজপুরের সাতটি উপজেলাই প্লাবিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগর সন্নিকটে হওয়ায় কচা, বলেশ্বর, সন্ধ্যা, কালিগঙ্গা, পোনা ও মধুমতি নদী দিয়ে পানি সহজেই ঢুকে পড়েছে নদীপাড়ের গ্রামগুলোতে। এছাড়া বন্যার আগে থেকেই মাঠে পানি বাড়তে থাকায় মাঠে থাকা পাকা আউশ ধান সংগ্রহ করতে পারেননি চাষিরা। ফলে পাকা ধান ঝরে পড়াসহ সেগুলোর মারাত্মক ক্ষতির শঙ্কা তাদের। আর অতিরিক্ত পানির কারণে আমন ধানের চারা রোপণও ব্যাহত হয়েছে। কিছু আমনের চারা রোপণ করলেও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেগুলো পচে যাওয়ার শঙ্কা কৃষকদের।
তবে নদ-নদীতে পানি কমে গেলেও মাঠে পানি আটকা পড়ায়, এখনও কৃষক মাঠ থেকে পুরোদমে আউশ ধান সংগ্রহ এবং আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করতে পারেনি। আউশ ধান সংগ্রহ শেষে সেই জমিগুলো প্রস্তুত করে পুনরায় সেখানে আমন ধানের চারা রোপণ করা হবে।
তবে বন্যার কারণে এ বছর আমনের আবাদ ১৫-২০ দিন পিছিয়ে যাবে বলে ধারণা কৃষকের। আর এতে ফসলের উৎপাদন কমতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
বন্যার কারণে কৃষকদের ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। তবে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বছরের বন্যায় ধান ছাড়াও পিরোজপুরে অন্যান্য সবজির ক্ষতি হয়েছে।
চলতি বছর পিরোজপুরে ১৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। এছাড়া ৬১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগেরও কম জমিতে আমনের চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।