বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৪১ অপরাহ্ন

মঠবাড়িয়ায় অবৈধ স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক

মঠবাড়িয়ায় অবৈধ স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক

0 Shares

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মৎস্য ভবন স্থাপনের নামে মূল ভবন সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় চরখালী পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে নব নির্মিত মৎস্য ভবন সংলগ্ন খাস জমিতে স্থাপিত এ অবৈধ স্থাপনা পরিদর্শন করেন তিনি। জানা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরে নবনির্মিত মৎস্য ভবন স্থাপন করে ভবন সংলগ্ন আঞ্চলিক মহাসড়কের গাঁ ঘেসে অবৈধ দোকান ঘর স্থাপন করে বরাদ্দ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে মঠবাড়িয়া পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দারা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগ করেন।

এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে একাধিক জাতীয় পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। অবৈধ স্থাপনাটি জনস্বার্থ বিরোধী হওয়ায় গত ১৭ জুলাই স্থানীয় সাংসদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি ডিওলেটার প্রেরণ করেন। যার স্মারক নং ২২৯। ডিও পত্রটির বিষয়ে তদন্ত করে প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিতকরণের জন্য বলা হয়। মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ওপর দিয়ে চলমান আঞ্চলিক মহাসড়কটি অবৈধ স্থাপনায় হুমকির মুখে। দখলদাররা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় সড়কটির পৌর শহরের অংশ দিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ফুটপাত না থাকায় পথচারীরা বিপাকে পড়ছে। ঢাকাগামী পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রায়ই যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে।

মঠবাড়িয়া কে.এম লতিফ ইনষ্টিটিউটের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী ছুটির পর ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা সড়ক দুর্ঘটনারও শিকার হয়। অবৈধ স্থাপনা ও স্কুলের মধ্যবর্তী ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ হলে অবৈধ স্থাপনা রাস্তার মধ্যে চলে আসবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তারপরেও কিভাবে এখানে মূল ভবন সংলগ্ন পকেট দোকান তৈরি করে সড়কটিকে ঝুকির মধ্যে ফেলা হয়েছে তা কারোই বোধগম্য নয়।

অবৈধ স্থাপনাটি মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৪ টি সড়কের প্রাণকেন্দ্রে স্থাপন করায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একটি বাস গেলে আর কোন যানবাহন ক্রোস করার সুযোগ থাকেনা। দুটি বাস মুখোমুখি হলে ঘন্টার পর ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

মঠবাড়িয়ায় ইতোপূর্বে অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা অপসারনে আন্দোলনসহ মানববন্ধন ও অভিযোগ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে বিরুপ প্রশ্ন উঠেছে। এতে দখল বাণিজ্য রমরমা হয়ে উঠেছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলা জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে খাস জমি দখলে মেতে উঠেছে ভুমিখেকো একটি চক্র। এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না কেউ।

জেলা প্রশাসক পরিদর্শনে আসলে অবৈধ স্থাপনা টিকিয়ে রাখার পক্ষে শক্তি প্রদর্শন করতে দেখা যায় একটি গ্রুপকে। প্রশাসনের উপস্থিতিতেই অনিয়মের পক্ষে শক্তি প্রদর্শন করায় আতঙ্কিত হয়ে মুখ খুলতে পারেননি সাধারণ জনগণ। তবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জেলা প্রশাসককে অবৈধ স্থাপনা দ্রুত অপসারণের জন্য জোর দাবি করেছেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদেরও বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হতে হয়।

মুক্তিযোদ্ধা এমাদুল হক খান জানান, ফুটপাত ও ড্রেনের জায়গা দখল করে দোকান স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ অনিয়ম। জনস্বার্থে এ অনিয়মের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ জানান, বিষয়টি পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।’





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap