শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

গৃহবধূকে চাচি ডেকে দরজা খোলানো হয়, এরপর চলে ধর্ষণকাণ্ড

গৃহবধূকে চাচি ডেকে দরজা খোলানো হয়, এরপর চলে ধর্ষণকাণ্ড

0 Shares

অনলাইন ডেস্ক:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মা-মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আসামি শাকিল মিয়া ও তার বন্ধু হারুন মিয়া। সোমবার বিকেল ৩টায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে আসামিরা দায় স্বীকার করে এ জবানবন্দি দেয়। হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক ওসি আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলো- জেলার চুনারুঘাট উপজেলার জিবধরছড়া এলাকার সফিক মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৫) ও একই এলাকার রেজ্জাক মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (১৯)। এ ঘটনায় মামলার অন্যতম আসামি সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছে।

শাকিলের বরাত দিয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি এলাকায় গত শুক্রবার গভীর রাতে গরমছড়ি ফরেস্ট এলাকায় মাজারে ঘুরতে যায় শাকিল, হারুন, সালাউদ্দিনসহ তার দলবল। সেখানে তারা হাত-মুখ ধুয়ে মাজারের অদূরে পাহাড়বেষ্টিত পূর্ব দিকের টিলায় জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূকে চাচি ডেকে দরজা খুলতে বলে। পূর্বপরিচিত ওই গৃহবধূ শাকিলকে চা-পান দেন। এ সুযোগে শাকিলের নেতৃত্বে একদল যুবক হানা দিয়ে গৃহবধূ (৪৫) ও তাঁর কন্যাকে (২৫) হাতে ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ভিকটিম মেয়ে বাদী হয়ে শনিবার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিকেলে চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দামের নেতৃত্বে এসআই শেখ আলী আজহার, এসআই মুসলিম উদ্দিনসহ একদল পুলিশ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে। হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক ওসি আল আমিন জানান, আটককৃতদের আদালতে স্বীকারোক্তি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap