শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন

ইন্দুরকানীতে দূর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পরিষদের অনুদান : বিভিন্ন মন্দির কমিটির অসন্তোষ

ইন্দুরকানীতে দূর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পরিষদের অনুদান : বিভিন্ন মন্দির কমিটির অসন্তোষ

0 Shares

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ইন্দুরকানীতে উপজেলার ২৬ টি মন্দিরে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুসাইন মুহাম্মাদ আল-মুজাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. এম মতিউর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার।

ইন্দুরকানীতে এবছর ২৬টি পুজা মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। ইন্দুরকানী হরিসভা পূজা মন্ডেপে ১০ হাজার টাকা ও উপজেলার অন্য ২৫ টি পুজা মন্ডপে ১ হাজার টাকা করে মোট ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রসাশক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খানম উপস্থিত থেকে এই অনুদানের টাকা সকল মন্দিরের সভাপতিদের হাতে তুলে দেন।

অনুদান প্রদানে একটা বড় ব্যবধান থাকায় অনেক মন্দির কমিটির সভাপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি পুজা মন্দিরের সভাপতি দিবাকর দত্ত পুলিন বলেন, জেলা পরিষদের আর্থিক অনুদান প্রদানে উপজেলার একটি মন্দির থেকে অন্যান্য মন্দির গুলোকে ছোট করে দেখা হয়েছে। এ কারনে বিভিন্ন মন্দিরের সভাপতি চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের বৃহত্তর বালিপাড়া এবং বর্তমান চন্ডিপুর ইউনিয়নে একটি মাত্র মন্দির। এই ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এই মন্দিরে পূজাঅর্চনা করে এবং সরকারী পুলিশ, আনছার ভাইদের মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ আমরা অনুদান পাই কম। পক্ষান্তরে সদর মন্দির থেকে থানা কাছাকাছি হওয়ায় পুলিশ বাহিনীর লোকজনকে এবং আনছার সদস্যদেরকেও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়না। তাই আমি মনে করি উপজেলার সকল মন্দিরের থেকে আমাদের মন্দিরে খরচের পরিমানও বেশি। আর আমরা বরাদ্ধ পাই সবথেকে কম। এটা আমাদের সাথে ন্যায় সংগত কিনা তা আপনারাই বিবেচনা করেন। জেলা পরিষদ থেকে যদি আমাদেরকে ৫০০ টাকা করেও দিত তাইলেও আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতাম কিন্তু এত বড় একটা ব্যবধান থাকায় আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকরা বলেন, আমরা সরকারী যে চাল বরাদ্ধ পাই তা সকল মন্দিরে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয় কিন্তু প্রতিবছর জেলা পরিষদ এবং আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যের অনুদানের টাকার একটা বড় অংশ এই উপজেলা সদর মন্দিরটিতে দিয়ে থাকেন। অথচ গ্রামের মন্দিরগুলোতে দেখা যায় অনেক স্থানে পর্যাপ্ত পরিমানে প্রসাদ বিতরনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় অনেক টাকা ব্যায় হয়। অথচ আমাদেরকে এই একটি মন্দির থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। এত বড় ব্যাবধান ভাবতেও অবাক লাগে। যে একটা মন্দিরে ১০ হাজার আর সকল মন্দিরে ১ হাজার করে দেয়া এটা বৈষম্য হয়েছে বলে আমরা মনে করি।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap