শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
জে আই লাভলু/ শাহাদাত হোসেন বাবু:
রাত পোহালেই আগামীকাল শুক্রবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এই খুশির দিনটিকে সামনে রেখে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতা সাধারন। সকাল থেকে রাত প্রায় ১২টা নাগাদ চলছে বিপণী বিতান গুলোতে বিরামহীন ভাবে কেনাবেচা। বিপণী বিতান গুলোতে ছোট বড় রং-বেরংয়ের বাহারি পোশাকের পাশাপশি, জুয়েলারি, কসমেটিকস, জুতা ও টেইলার্স এর দোকান গুলোতেও রয়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীর।
সব ধরনের ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাকের পশরা সাজিয়ে বসেছেন এবার দোকানিরা। তাই নতুন নতুন পেশাকের সমারোহ সহ এবার পছন্দের সবকিছু পাওয়ায় অনেকেই জেলা শহরে কেনাকাটা করতে যাননি। বুধ ও বৃহস্পতিবার গত দুদিনে আবহাওয়া কিছুটা ভাল থাকায় গ্রামগঞ্জ থেকে ইন্দুরকানী বাজারে স্বজনদের জন্য ঈদের কেনা কাটা করতে এসেছেন অনেক নারী পুরুষ।
তবে মাহামারি করোনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা বিপর্যস্ত হলেও এখানকার ঈদের বাজারে এর তেমন কোন ছাপ পড়েনি। নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করার ব্যাপারে সচেতনতার বিষয়টি চোখে পড়েনি দোকান গুলোতে।
তবে করোনার মধ্যেও গেল বছরের তুলনায় এবার বেচা বিক্রি অনেকটা বেশি বলে জানালেন দোকানিরা। এবার রমজানের মাঝামাঝি থেকে কেনা বেচায় চাপ বাড়ে ইন্দুরকানী বাজার সহ পাড়েরহাট, চন্ডিপুর ও বালিপাড়ার গার্মেন্টস, জুতা ও কসমেটিকস এর দোকান গুলোতে। তাছাড়া এবার রোজা ৩০টি পূর্ণ হওয়ায় একদিনের বেচাকেনার বাড়তি সুযোগ পেয়েছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
চরবল্শে^র থেকে নিজের জন্য কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা মারুফুল নামে এক কিশোর জানান, এবার এখানে পছন্দের সবকিছু পাওয়ায় জেলা শহরে ঈদের কেনাকাটা করতে যায়নি। আর দামও মোটামুটি হাতের নাগালে।
মেসার্স হাওলাদার বস্ত্রলয় এন্ড গার্মেন্টস এর স¦ত্বাধীকারী আলমগীর হাওলাদার সবুজ জানান, এবার মনে করেছিলাম করোনার মধ্যে বেচাকেনা মন্দা হবে। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশার চাইতেই বেশি বিক্রি হয়েছে। এখানকার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের চাপ ছিল বেশি।
তালুকদার ফ্যাশন কর্ণারের স্বত্বাধীকারী সুমন তালুকদার জানান, এবার রমজানের শুরু থেকেই বেচাবিক্রি মোটামুটি ছিল। তবে রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে বেচাবিক্রি জমতে শুরু করে।
তিনি আরো জানান, আমাদের এখানে সব ধরনের ক্রেতাদের পছন্দের দিকে নজর দিয়ে আমরা এবার পোশাক উঠিয়েছি। যারা আগে জেলা শহরে গিয়ে পরিবার পরিজনদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতেন তারা এখন স্বাচ্ছন্দে ইন্দুরকানী বাজারে এসে কেনাকাটা করছেন।
রিফাত সু-স্টোরের স্বত্বাধীকারী মো: সাইফুল ইসলাম জানান, এবার ঈদের বাজারে বেচা বিক্রি ভাল হয়েছে।