শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
ইন্দুরকানী বার্তা রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পিরোজপুর জেলার কাউখালীতে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জোয়ারে পানিতে ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২৮টি গ্রামের নিম্মঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, ফসলি জমি, পুকুর ও ঘের। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে তলিয়ে গেছে কাউখালীর তিনটি ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পানিবন্দী লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পানি উপেক্ষা করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা খাতুন রেখা।
শিয়ালকাঠী ইউপির চেয়ারম্যান সিকদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুপুরের দিকে জোয়ারের তীব্রতা খুবই বেশি ছিল। কচাঁ নদীর জোয়ারের পানিতে পাঙ্গাঁসিয়া বেড়িবাঁধ ভেঙে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট উচ্চতায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে।
চারদিকে নদী বেষ্টিত সয়না রঘুনাথপুর ইউপির চেয়ারম্যান এলিজা সাঈদ বলেন, চারদিকে নদী থাকায় জোয়ারের পানি অতি সহজে বিভিন্ন অংশে ঢুকে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এতে ফসল ও মাছের ঘেরে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে সাতটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। লোকজন দিনের বেলা সেখানে যেতে চাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা খাতুন রেখা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার লোকজন রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিল। এ ছাড়া বুধবার দুপুরে পানিবন্দী অসহায় পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।