বুধবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
প্রচন্ড গরমে সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুরেও বেড়েছে ডায়রিয়ার সংক্রমন। ধারণ ক্ষমতার থেকে দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। এদিকে জেলা হাসপাতালের ২৪ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ৫৩ জন। মেঝেতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন রোগী। অপরিচ্ছন্নতা আর হাসপাতালের সার্ভিস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
জানা যায়, বছরের শুরু থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৬২৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। এদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ার কারনে শুধু এপ্রিলের ১০ তারিখ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ১৬৩ জন রোগী। রোগীর স্বজন সালমা বেগম বলেন, আমার ছেলের বয়স আড়াই বছর। গত তিনদিন থেকে অসুস্থ আমার ছেলে। রুগী একটু পর পর আসছে, কিন্তু সিট নেই। সিট থাকলেও রেক্সিন ভালো নেই। নোংরা পরিবেশ। পরিষ্কার করতে আসে না কেউ। নিজেদেরটা নিজেরাই যতটুকু পারা যায় করতে হয়।
রোগীদের সঙ্গে সেবিকারা দুর্ব্যবহার করছেন অভিযোগ তুলে আরেক স্বজন আফসার আলী বলেন, পরামর্শ চাইতে গেলেও রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। ফ্যান ঘোরে না, মশারি নেই কোনো কথাই বলা যায় না। একটি সিরিঞ্জ, তাও বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেবিকা মিরা বড়াল জানান, হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ২৪টি। সেখানে রোগী ভর্তি আছে ৫৩ জন। ওয়ার্ডে সেবিকা মাত্র তিন জন। ফলে রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী যেভাবে সেবা দেওয়া দরকার তা তাঁরা দিতে পারছেন না। আর ওয়ার্ড পরিষ্কার করার জন্য আমাদের মাত্র একজন সুইপার আছে যে পুরো হাসপাতাল পরিষ্কার করার দায়িত্বে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে পিরোজপুরে মোট ৬৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। ডায়রিয়া আক্রান্তদের জন্য আইভি স্যালাইন মজুদ আছে এক হাজার সিসির ১৩ হাজার ৪১৮টি এবং ৫০০ সিসির পাঁচ হাজার ৩৩১টি। তিনি আরও বলেন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে। চাইলে সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে বিশুদ্ধ পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পানিশূন্যতা বেশি হলে দ্রæত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি