বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন

মডেল উপজেলা গড়ে তোলার রূপকার ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম

মডেল উপজেলা গড়ে তোলার রূপকার ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম

0 Shares

ইন্দুরকানী বার্তা:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়ে মডেল উপজেলা গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এলাকাবাসী মনে করেন, তিনি সফলও হয়েছেন।

নিজের কর্ম দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে মাত্র এক বছরেই আধুনিক ভান্ডারিয়া রূপ দিতে সক্ষম হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া এই চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা পরিষদের নান্দনিক স্থাপত্য ভবন, নয়নাভিরাম অডিটরিয়াম, দৃষ্টি নন্দন প্রবেশ গেট, আধুনিক ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম, বড় পর্দার স্কিন, ফুল আর ফলের বাগানে সজ্জিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত তোরন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

সেই সাথে মালটি কালারের আলোকরশ্মির সাথে ফোয়ারা নতুন পরিষদকে যেন নতুন এক মডেল উপজেলার নান্দনিক রুপ এনে দিয়েছে। তাছাড়া গরীব ও অসহায়দের বিনা মূল্যে চিৎকিসা ও ওষুধ বিতরণ, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়াসহ উপজেলাজুড়ে বালক বালিকাদের মাঝে বিতরণ করেছেন ক্রীড়া সামগ্রী।

তবে দায়িত্ব গ্রহনের পরে তার বড় চ্যালেঞ্চ ছিল উপজেলাকে মাদক মুক্ত করা। সে কারণে যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে মাদক বিরোধী প্রচারনা, লিফলেট বিতরণ, ব্যানার এবং গ্রুপ ভিত্তিক বছর জুড়ে তার মাদক বিরোধী কার্যক্রম জনগণের কাছে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এভাবেই ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলামের কথাগুলো বলছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আলি আকবর।

আলী আকবরের কথা থেকে জানা গেছে, শুধুমাত্র উপজেলার উন্নয়নেই নয়, বরং দলীয় কাজেও তিনি পারদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছেন বহুবার। উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তিনি তৈরী করেন ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্যর নৌকা আকৃতির মঞ্চ। পাশে সংযোজন করেন ২৮০ ফুট পদ্মা সেতুর মডেল, রেল লাইন আর রিমোট কন্টোল গাড়ি চলাচলের নমুনা। যা দেখে মানুষ মোহিত হয়ে পড়েন। করোনা মহামারী ঠেকাতে উপজেলার লোকসমাগম ঘটে এমন ছয়টি স্থানে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। বিতরণ করেছেন ৫০ হাজার মাস্ক, ২৫ হাজার হ্যান্ডসেনিটাইজার, ৫ হাজার পিপিই ও হ্যান্ডগ্লোবস।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দান করেন সমান পরিমান উপকরন ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা। সাথে ২৪ ঘন্টা ফ্রি এম্বুলেন্স, লকডাউন থাকার কারণে ভ্রাম্যমাণ কাচাবাজার জরুরী শিশুখাদ্য সাতটি গাড়ি করে টিম সদস্যদের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। করোনার প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন ও হাসপাতালের প্রবেশদারে জীবাণুনাশক টানেল তৈরী করে দিয়ে আলোচনার শিরোনাম হন তিনি।

তিনি ঈদ উল ফিতরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ মানবিক সহায়তা খাদ্য সামগ্রী ৭২ হাজার পরিবারের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

এদিকে করোনা দুর্যোগের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় আম্পান। এতে ভান্ডারিয়া সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়। এতে অসহায় হয়ে পড়ে ওই ইউনিয়নগুলোর মানুষ। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারের পাশে দাঁড়ান উপজেলা চেয়ারম্যান। নগদ অর্থ, চিড়া, মুড়ি, শিশুখাদ্য, রেইন কোর্ট, ছাতা বিতরণ করেন দুর্গতদের মাঝে। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম ও হট লাইন সার্ভিস চালু করেন স্কাউটসহ সকলের সহযোগিতায়।

বর্তমান সময়ে পুরো উপজেলায় করণীয় কল্যাণকর কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান। মডেল উপজেলা বাস্তবায়নে কাজ করছেন তিনি।

মিরাজুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি প্রচারে বিশ্বাসী নই, কাজে বিশ্বাসি। তবে ভালো কাজের প্রচার ও সহযোগিতা করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap