শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

মঠবাড়িয়ায় জাপা নেতাকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করল দুর্বৃত্তরা

মঠবাড়িয়ায় জাপা নেতাকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করল দুর্বৃত্তরা

0 Shares

বার্তা ডেস্ক:

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শফিকুল ইসলাম সিকদার (৩৮) নামে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) নেতাকে প্রকাশ্য দিবালোকে মহাসড়কে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এক পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করেছে অজ্ঞাতপরিচয় একদল সন্ত্রাসী। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মঠবাড়িয়া-চরখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের মাঝেরপুল নামক স্থানে জাতীয় পার্টির ওই নেতা এই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।

গুরুতর আহত শফিকুল ইসলাম উপজেলার তুষখালী গ্রামের মো. আইউব আলী সিকদারের ছেলে। তিনি স্থানীয় তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক।

এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তবে পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই নাসির হাওলাদারকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে।

থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়ন বাজারে দুটি ভিটির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলামের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় বেশ কিছু মামলা-মোকদ্দমা আদালতে চলমান।

বৃহস্পতিবার সকালে মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে শফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হন। একটি ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলযোগে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে মহাসড়কের মাঝেরপুল নামক স্থানে পৌঁছলে অজ্ঞাত চার-পাঁচজন একটি মাহেন্দ্র গাড়িতে এসে শফিকুলের মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ধাক্কা মারে। এতে মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী শফিকুল সড়কের পাশে পড়ে যান। এরপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মাহেন্দ্র থেকে নেমে শফিকুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাঁ পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে। এ ছাড়া তার পেট ও শরীরের নানা স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সড়কে ফেলে দ্রুত মাহেন্দ্রযোগে সন্ত্রাসী দল পালিয়ে যায়।

আহত শফিকুলের আর্তচিৎকারে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে সড়কপথে আহত শফিকুলকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে হামলায় আহত জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলামের বাবা মো. আইউব আলী সিকদার বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে তুষখালী বন্দরের দুটি ভিটির জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। প্রতিপক্ষরাই পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে এক পা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আমার ছেলের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার ন্যায়বিচার চাই। ’

এ ঘটনার বিচার দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap