বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
ইন্দুরকানী বার্তা:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে প্রেমে বাঁধা দেয়ায় অভিমানে বিষ পানের ১০ দিন পর সেই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া স্কুল ছাত্রী শিরিন আক্তার মিম (১৩) ইন্দুরকানী সরকারি সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী এবং উপজেলার চাড়াখালী গ্রামের দিনমজুর রমজান সিকদারের মেয়ে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
স্কুল পড়ুয়া শিরিন আক্তার মিম (১৩)’র সাথে পার্শ্ববর্তী সেউতিবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ শাহীন কাজীর ছেলে রুজাইন কাজী (১৬) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। রুজাইন একটি মুটোফোন কিনে দেন মিমকে। এঘটনা ছেলের মা জানতে পেরে মেয়ের বাড়ীতে এসে মেয়ের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যায়।
পরে এবিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২ জানুয়ারী স্কুল ছাত্রী অভিমান করে ঘরে থাকা ঘাস নিধনের কীটনাশক পান করে। কীটনাশক পানের বিষয়টি তার পরিবার জানতে পারেনি। এর দুইদিন পর স্কুল ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখন স্কুল ছাত্রী কীটনাশক পান করেন তার পরিবারকে জানান ছাত্রী। পরে স্কুল ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হলে তারা পিরাজপুর জেলা হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে খুলনা মডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান।
সেখানে দুইদিন চিকিৎসার পর অর্থসংকটের কারণে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে বুধবার তাকে ক্লিনিক থেকে ফেরত দিলে বাড়ি নিয়ে আসেন। ওইদিন গভীর রাতে মারা যান স্কুল ছাত্রী মিম।
এব্যাপারে ছেলের মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি মেয়ের পরিবারের কাছে এ ব্যপারটি জানাত গিয়েছিলাম, তখন আমাকে একটি মোবাইল দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ এনামুল হক জানান, স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের পিতার অভিযোগ থাকায় আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলা হবে।