শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন
অবহেলা
শিরিনা আফরোজ
অযত্ন, অবহেলায়
যদি বারান্দার টবে লাগানো
গাছগুলো মরে যায়,
যদি প্রিয় পোষাপ্রানী ছেড়ে যায়
যদি খাঁচার পাখি উড়ে যায় ,
যদি প্রিয় পোষাক ছিড়ে যায়
তাহলে সম্পর্ক টিকে থাকে কি করে।
সে কি বেঁচে আছে?
যে বয়ে বেড়িয়েছে না পাওয়ার কষ্ট
যে দিয়েছে যা ছিল তাঁর অবশিষ্ট।
যে বয়ে বেড়িয়েছে অন্যের দায়ভার ,
যার কন্ঠে জড়িয়ে রয়েছে কন্টক হার।
যে শুধু দিয়ে গেছে উজার করে
আসলে সে কি কিছু পেয়েছে
এ বিশ্ব সংসারে?
প্রশ্নের ভীরে প্রশ্ন হারিয়ে যায়
কর্মব্যস্ত শহরে , নগরে, বন্দরে
মানুষ ই মানুষের দায় এড়িয়ে যায়।
কেউ শোষক , কেউ শাসক
লুটেরা লুট করে দানবের সংসারে
মানবতা গুমরে কাঁদে।
খাঁচায় বন্দী পাখির মত
কত সহস্র মানুষের জীবন
আটকে থাকে সংসারের ফাঁদে।
মরে যাওয়ার আগে মানুষ মরে
মানুষের হিংস্রতায়, মানুষের ই অত্যাচারে
কখনও রান্না ঘরে , কখনও বৃদ্ধাশ্রমে
কখনও খাবার টেবিলে, কখনও জনসভায়
মিটিংয়ে মিছিলে অনবরত মানুষের মৃত্যু হয়।
মানুষের ছলে, মানুষের কৌশলে,
অপকৌশলে মানুষ ই সব হারায়।
কিছু কিছু মৃত্যু খোলা চোখে দেখা যায়না
কিছু কিছু মৃত মানুষের দাফন হয়না।
প্রানহীন দেহে তাদের লোক দেখানো বেঁচে থাকা,
সুখ দুঃখের অভিনয়, জীবনের ক্ষত লুকিয়ে রাখা।
মানুষের ভীড়ে বাঁচাতে পারোনি তারে
তিলে তিলে যে মারা গেল একটু একটু করে
কোনদিন ভালোবাসো নাই যারে,
কোন দিন আগলে রাখো নাই যারে
দূর থেকে আজ সে ক্রমাগত দূরে।
মেঘের বাড়ি ওই তারাদের দেশে
একা একা আনমনে বেড়ায় ভেসে।
মনের মধ্য খানে যারা গড়ে নেয় নিজস্ব সংসার
তাদের আর নাই চাওয়া পাওয়া অন্যের কাছে,
নাই কিছু হারাবার।
যে সব মানুষেরা মরে যায় মরবার আগে
এ পৃথিবী সুন্দর তাদের ত্যাগে।
অন্ধ মনে হলেও ওই সকল চোখেই আলো
নিজেকে নিঃস্ব করে যারা করে যায় অন্যের ভালো।