মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

ইন্দুরকানীর টগড়া থেকে কলারন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় ভোগান্তি কমলো এলাকাবাসীর

ইন্দুরকানীর টগড়া থেকে কলারন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় ভোগান্তি কমলো এলাকাবাসীর

0 Shares


ইন্দুরকানী বার্তা:

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলাবাসীর জেলা শহর সহ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী বিভাগীয় শহর গুলোতে সড়ক পথে যাতায়াতের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কটি ছিল অপ্রশস্ত। টগড়া ফেরিঘাট মোড় থেকে কলারন খেয়াঘাট পর্যন্ত মোট ১৭ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাত্র ৬ কিলোমিটার সড়ক ছিল ১৮ ফুট প্রশস্ত। বাকি ১১ কিলোমিটার সড়ক ছিল মাত্র ১২ ফুট চওড়া। এছাড়া দুপাড়ে মাটি না থাকার কারনে সরু এ সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে খানাখন্দ সৃস্টি হয়। তাই এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ছোট বড় বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হত চালক ও যাত্রী সাধারনকে। কিন্তু সম্প্রতি টগড়া ফেরিঘাট মোড় থেকে কলারন খেয়াঘাট পর্যন্ত মোট ১৭ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি থেকে অনেকটা পরিত্রান মিলেছে সড়কটি ৬ ফুট প্রশস্ত হওয়ায়।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়,উপজেলার টগড়া মোড় থেকে শুরু করে ইন্দুরকানী, বালিপাড়া হয়ে কল্যারণ-সন্যাসী খেয়াঘাট পর্যন্ত সড়কটি আগে সরু ছিলো। ফলে এ পথে যাতায়াত করা যানবাহগুলো সব সময় ঝুঁকিকে থাকতো। এমনকি প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হতো যাত্রী সাধারণ। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সড়কটি প্রশস্ত করার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি সড়কটি প্রশস্ত করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। যার ফলশ্রুতিতেগত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পিএমপি মেজর প্রকল্পের আওতায় সড়কটি প্রশস্ত করার ব্যবস্থা করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পূর্বের ১২ ফুট প্রশস্ত সড়কটির উভয় পাশে তিন ফুট করে বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে সতেরো কিলোমিটার সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৯৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৭০১ টাকা। আগামী কাল ২৩ ফেব্রুয়ারী বিকালে সড়কটি আনুষ্ঠনিক ভাবে উদ্বোধন করবেন পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এ উপলক্ষে আগামীকাল বিকালে চন্ডিপুর মাঠে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে পানগুচি নদীতে কলারণ-সন্যাসী পয়েন্টের ফেরিটি পুনরায় চালুর জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। খুব অল্প দিনের মধ্যেই এই ঘাটে ফেরি চলাচল করবে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, এই ফেরিটি উদ্বোধনের দিন মাত্র একবার চলাচল করে আর চলেনি। পরে ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে ফেরি ঘাট সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। তারপর থেকে এ ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।

পিরোজপুর-কলারন রুটের বাস চালক লোকমান হোসেন বলেন, সড়কটি আগের চেয়ে ৬ ফুট প্রশস্ত হওয়ায় দুর্ভোগ অনেকটা কমে গেছে। এখন আর দুটি বাস একসাথে ক্রসিং করতে সমস্যা হয়না।

বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: কবির হোসেন জানান, কলারণ-সন্যাসী রুটে ফেরি চলাচল শুরু করলে শরনখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার মানুষদের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের পথ সুগম হবে। এমনকি বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মাছ খুব দ্রুত ঢাকায় পৌঁছে যাবে। আর সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবস্থার ব্যপক প্রশার ঘটবে।

এ বিষয়ে ইন্দুরকানী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার ইমন জানান, আমাদের উপজেলার টগড়া থেকে কলারন খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রধান সড়কটি পূর্বে সরু থাকায় ভারি যানবাহ চলাচলে খুব সমস্যা হতো। এখন সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় সে সমস্যা আর নেই। এজন্য আমাদের এমপি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই।

ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. এম মতিউর রহমান বলেন, ইন্দুরকানী উপজেলার এ প্রধান সড়কটি অপশস্ত হওয়ায় ছোট বড় যানবাহন চলাচলে খুব অসবিধা হত। যাত্রীবাহী বাস-ট্রাক ক্রসিং করতে গিয়ে অনেক সময় রাস্তার বাইরে পড়ে যেত। এছাড়া সড়কটি সরু ও দুপাড়ে মাটি না থাকায় প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটতো। তাই উপজেলাবাসীর যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার ও প্রশস্তকরনের জন্য আমি এখানকার দায়িত্বে থাকা সাবেক ইউএনও হোসাইন মোহাম্মাদ আল মুজাহিদকে সাথে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিস্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছিলাম। সড়কটির প্রশস্তকরনের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এই সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারনের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হয়েছে। এছাড়া পানগুছি নদীতে কলারন-সন্ন্যাসী ফেরীটি পুনরায় চালু হলে শরনখোলা, সুন্দরবন ও মংলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন দ্বার উন্মোচন হবে।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap