শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

পারিবারিক অসম্মতিতে বোনের বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই বেয়াইর মধ্যে সংঘর্ষ; আহত-২, গ্রেপ্তার-১

পারিবারিক অসম্মতিতে বোনের বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই বেয়াইর মধ্যে সংঘর্ষ; আহত-২, গ্রেপ্তার-১

0 Shares

ইন্দুরকানী বার্তা:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পারিবারিক অসম্মতিতে বোনের বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই বেয়াইর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুই বেয়াই আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ সড়কের জাতীয় পার্টি জেপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় ইব্রাহিম খান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহত মিজানুরকে রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে ইব্রাহিম ও তার পিতা আ. কাদের খানের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় মামলা হয়। পরে রাতেই ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, দেড় বছর আগে ইব্রাহিমের ছোট বোন ও আহত মিজানুর রহমানের ছোট ভাই আলী হোসেন প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে নিজেরা বিয়ে করেন। পারিবারিক অসম্মতিতে তাদের এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ভাই ইব্রাহিম। এ কারণে তাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল ইব্রাহিম। কিন্তু ইব্রাহিমের মা অসুস্থ থাকায় তাকে দেখতে গতকাল তার বোন বাড়িতে আসেন। তাদের বাড়িতে বোনের আসা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে বোনের ভাসুর মিজানুরকে রাস্তায় পেয়ে তার সঙ্গে উচ্চবাচ্চ বাক্য বিনিময় হয় ইব্রাহিমের। এসময় মিজানুর রাগান্বিত হয় তার বেয়াই ইব্রাহিমকে থাপ্পড় মারে ও মাথায় কামড় দেয়। এসময় ইব্রাহিম ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ শুরু করলে মিজানুর এক পথচারীর মুরব্বির বেতের লাঠি টেনে এনে ইব্রাহিমকে কয়েকটি আঘাত করে।
এ ঘটনায় পরে ইব্রাহিম ক্ষিপ্ত হয়ে ছুঁড়ি দিয়ে মিজানুরের মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে কুপিয়ে জখম করেন।
ঘটনার পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা আহত মিজানুরকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ইব্রাহিমকে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত মিজানুরের বড় ভাই মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ছোট ভাই আলী হোসেন দেড় বছর আগে ইব্রাহীমের ছোট বোনকে বিয়ে করে। ইব্রাহীম এ বিয়ে মানতে না পেরে তার বোনকে বাড়িতে দেখে জেদ মেটাবার জন্য আমার ভাই মিজানুরকে ছুরি মেরে জখম করেন।’

ইব্রাহীম খান জানান, মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বোনকে বাড়িতে পাঠানোর ঘটনায় দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কির পর আমাকে থাপ্পর মারে ও মাথায় কামড় দেয় এবং পরে বেতের লাঠি দিয়ে আমার শরীরে কয়েকটি আঘাত করে। তবে মিজানুরকে ছুরিকাঘাত করে কে বা কারা রক্তাক্ত যখম করেছে তা তিনি জানেন না বলে অস্বীকার করেন।

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, গুরুতর আহত মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইব্রাহীম ও তার পিতার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap