রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া গ্রামে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার অভিযুক্ত মাকসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ রানা খলিফাকে আটক করে। পরে ওই নারী বাদী হয়ে মাকসুদকে আসামী করে বুধবার রাতেই থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে এক সন্তানের জনক মাকসুদকে আদালতে সোপর্দ করেছেন। অভিযুক্ত মাকসুদ কচুবাড়িয়া গ্রামের মৃত নুরুজ্জামান ওরফে রত্তন খলিফার পুত্র।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত পাঁচ বছর পূর্বে ওই নারীর স্বামী সৌদি আরবে যান। এরপর তিনি আর দেশে আসেননি। মাকসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ রানা ওই প্রবাসী স্ত্রীর পাশর্^বর্তী বাড়ির লোক। তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই মাকসুদ থাকে বিভিন্ন ধরণের প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তিনি প্রথমে উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হইলেও পরবর্তীতে তাকে বিবাহ করবে মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করিলে তিনি প্রলোভনে প্রলুদ্ধ হন। এরপর ২০১৯ সালের ০৪ মে মাকসুদ গোপনে তার বসত ঘরে প্রবেশ করে তাকে পুনরায় বিবাহের প্রলোভন দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এর পর থেকে চলতি বছরের ০৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সময় মাকসুদ ওই নারীর বসত ঘরে বসে শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে গত কয়েক মাস পূর্বে তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে তিনি মঠবাড়িয়ার সৌদি প্রবাসী হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা। পরে বিষয়টি মাকসুদকে জানান এবং তাকে বিবাহ করার জন্য বলেন। কিন্তু অভিযুক্ত মাকসুদ তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য বলেন। ওই নারী এজাহারে আরো উল্লেখ করেন মাকসুদ তার সরলতার সুযোগ নিয়ে সংসার ও জীবন শেষ করে দিয়েছেন। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করলে ওই মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার মাকসুদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাছাড়া ওই নারী ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।