রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১২ অপরাহ্ন
প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা মামলায় ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড মন্জুর করেছেন আদালত। করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতি মামলায় আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন বিচারক।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের এ আবেদন করেন মামলার তদন্তকা কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সঙ্গে ডা. সাবরিনার জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাকে রিমান্ডে এনে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা প্রয়োজন।
ডা. সাবরিনা
আবেদনে আরও বলেন, এ ঘটনায় সাবরিনা কে বা কার সহায়তায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করে দ্বিতীয়বার এনআইডি গ্রহণ করেছেন এবং তার হেফাজতে অন্য কোনও ভুয়া এনআইডি কার্ড আছে কিনা, থাকলে তা উদ্ধারসহ প্রকৃত ঠিকানা সংগ্রহ করে যাচাই, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন বলে তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন। বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেন।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ডা. সাবরিনার দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানায়। দুদক একটি চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চায়। গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর দুদকের চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত ডা. সাবরিনা চৌধুরী তথ্য জালিয়াতি করে দুই এলাকায় ভোটার এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। তার দুটি এনআইডি-ই সচল এবং দু’টিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। এক্ষেত্রে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দু’টি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হন ডা. সাবরিনা। তার দুটি পরিচয়পত্রই অকার্যকর করা হয়েছে।