অনলাইন ডেস্ক: ঢাকার আশুলিয়ায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন আরও এক নারী। এঘটনায় অভিযুক্ত সাতজনের মধ্যে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার রোস্তমপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
থানা পুলিশ জানায়, মিরপুরের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর সাথে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এক যুবক। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওই নারীকে নিজ এলাকা আশুলিয়ার রুস্তমপুরের ডেকে আনে ওই যুবক। পরে একটি নির্জন জঙ্গলে নিয়ে ওই নারীকে সাত বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতভর আশুলিয়ার রুস্তমপুরে অভিযান চালানো হয়। আটক করা হয় পাঁচজনকে। বাকী দুইজনকেও আটকের চেষ্টা চলছে। আটকেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার জসিম উদ্দিন গণধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি। কিন্তু অভিযান পরিচালনাকারী আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাশিদকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট আশুলিয়ার ভাদাইলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় এক কিশোরী। পরে ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে তৎপর হয় পুলিশ। ভুক্তভোগীর বড় বোন ১৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে দুই আসামি গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন আদালত।