বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্ব মহামারি করোনার তান্ডবে যখন সারা পৃথিবী স্তম্ভিত। মুখথুবড়ে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। ঠিক তখন গ্রামীণ শিক্ষার অগ্রগতির জন্য এগিয়ে এসেছেন সরকারি ইন্দুরকানী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক একেএম মাসুদুজ্জামান। তিনি ভার্চুয়াল জগতে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে লড়ছেন আপ্রাণ। বিভিন্ন উপায়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিশেষ করে করোনাকালের শুরুতে ইন্দুরকানীর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উ”চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কয়েকজন শিক্ষকের সহায়তায় তিনি ইন্দুরকানী অনলাইন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যে স্কুলের অনলাইন প্লাটফর্মে প্রথম থেকে পাঠদানে সহযোগিতা করছেন ইন্দুরকানী কলেজের অধ্যাপক জাকারিয়া হোসেন, প্রভাষক ইমাম হোসেন, অরূপ হালদার, শারমিন হোসেন, লিটু রানী হালদার, শিক্ষক আরিফ জামান অলিউর রহমান, রতন বিশ্বাস, কাজী রমিজ উদ্দিন, শিরিন সুলতানা প্রমুখ। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষকরা এখানে অনলাইনে পাঠদান করে থাকেন।
করোনা কালীন সময়ে মাসুদুজ্জামান অনলাইন টকশো, দেশে বিদেশের প্রথিতযশা এবং বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণীর আলোকিত ব্যক্তিদের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচার করেছেন তিনি। এছড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে অনলাইন ভিত্তিক রম্য বিতর্ক, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি, সুন্দর হস্ত লেখা প্রতিযোগিতা, বই পড়া প্রতিযোগিতা, কুইজ, প্রমিত বাংলা উচ্চারণ, প্রযুক্তির আড্ডা, গল্প বলা ছিলো অন্যতম। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা শীর্ষক বিশেষ আলোচনা, সারা দেশের উল্লেখযোগ্য পনেরোটি অনলাইন স্কুলে লাইভ ক্লাস নেয়া, অনলাইন ক্লাস নেয়ার কৌশল, ভিডিও তৈরির কৌশলের জ্ঞান বিনিময়, এডিটিং প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন মাসুদুজ্জামান। এছাড়া ভার্চুয়াল জগতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত বিনিময় করে সারাদেশে ব্যাপক প্রশংসিত ও আলোড়িত হয়েছেন তিনি।
তিনি এমন একজন প্রতিভাবান শিক্ষক যে সবাই কে আলোকিত করতে নিজের শ্রম , অর্থ এবং সময় খরচ করে যাচ্ছেন হাসিমুখে । কোন প্রাপ্তির আশায় নয়, যা করছেন স্বে”ছাসেবক হিসেবে নিজের দায়িত্ববোধ থেকে। একেএম মাসুদুজ্জামান দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সব সময় সহযোগিতা করে থাকেন।
সরকারি ইন্দুরকানী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, করোনাকালে শিক্ষা ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখে চলেছেন একেএম মাসুদুজ্জামান। তার জন্য আমরা গর্বিত। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের সর্বো”চ পর্যায়ে তার এই কার্যক্রমের জন্য তাকে বিশেষ মর্যাদা দান করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে শিক্ষকদের মর্যাদা আরো বৃদ্ধি পাবে।
একেএম মাসুদুজ্জামান জানান, করোনাকালে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা ব্যবস্থার সচলায়ন করনে আমার কতিপয় সহকর্মীদের নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। একজন শিক্ষক হিসাবে নিজের সঞ্চিত জ্ঞাণ বিতরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এখনো চলমান রয়েছে। গ্রামীণ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়েই প্রথমে যাত্রা শুরু করেছিলাম। এখন যা বিস্তার লাভ করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জীবনের শেষ সময়েও শিক্ষার প্রসারে কাজ করতে চাই।