রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
ইন্দুরকানী বার্তা ডেস্ক:
পিরোজপুরে পিছিয়ে পড়েছে দক্ষিনাঞ্চলের স্বপ্নের ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বেকুটিয়া সেতু নির্মাণ প্রকল্প। সেতুটি ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তৈরি হয়নি ৫০% কাজও। করোনায় প্রকল্পে কর্মরত বেশবিছু চীনা শ্রমিক চীনে আটকে পরায় ব্যাহত হচ্ছে নির্মাণ কাজ তবে সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তারা জানান, ২০২২ সালের মধ্যে সেতুতে চলবে যানবাহন।
গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পিরোজপুরের কচাঁ নদীর ওপর বেকুটিয়া-কুমিরমারা পয়েন্টে ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রীর আর্থিক সহায়তায় বেকুটিয়া সেতু নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। পিরোজপুরের সদর উপজেলা এবং কাউখালী উপজেলার রাজাপুর-নৈকাঠি-বেকুটিয়া-পিরোজপুর সড়কের ১২তম কিলোমিটারে এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৯৮.০০ মিটার ও দুই লেনের সেতুর প্রস্থ ১৩.৪০ মিটার ধরা হয়েছে এবং সেতুটি নির্মাণে প্রকল্প ব্যয় করা হবে ৬’শ ৫৪ কোটি টাকা। সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
তবে প্রকল্পে কর্মরত বেশবিছু চীনা শ্রমিক চীনে ছুটি কাটাতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আটকে পরায় এতে ব্যাহত হচ্ছে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের মধ্যবর্তী প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ কচাঁ নদীর বেকুটিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ। ঐ রুটের ভুক্তভোগী যাত্রীরা জনান, বেকুটিয়া সেতুটির নির্মাণ কাজ যত দ্রুত সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে সরকারকে যেন সচেতন থাকেন।
এদিকে সেতুটি নির্মাণ হলে দক্ষিনাঞ্চলের ১৮ জেলার কোটি মানুষের উন্নয়ন হবে তবে আর্থিক ক্ষতি ও নিঃস্ব হওয়ার পথে বেকুটিয়া ফেরিঘাট গিরে গড়ে ওঠা ছোট বড় কয়েক’শ দোকান মালিকগন।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, বেকুটিয়া সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। করোনা ভাইরাসের কারণে বেধে দেওয়া সময়ের থেকে এক বছর বেশি সময় লাগতে পারে এ সেতু নির্মাণে। চায়নার রেলওয়ে ১৭টি এইচ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জানা যায়, পিসি বক্স গার্ডার সেতুতে মোট ৯টি স্প্যান ও ৮টি পিয়ার বসানো হচ্ছে।
সূত্র: দৈনিক জনকন্ঠ