শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন

আজ ২ ডিসেম্বর ইন্দুরকানী হানাদার মুক্ত দিবস

আজ ২ ডিসেম্বর ইন্দুরকানী হানাদার মুক্ত দিবস

0 Shares

তাওসিফ আকবর:
আজ বুধবার (০২ ডিসেম্বর) ইন্দুরকানী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা পুরোপুরি ভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে প্রভাব মুক্ত হয়। ইন্দুরকানী উপজেলার ইতিহাসে এ দিনটি একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দুরকানী উপজেলা তথা সমগ্র পিরোজপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন এলাকা।
১৯৭১ সালের ৪ মে পিরোজপুরে প্রথম হানাদার বাহিনী প্রবেশ করে। শহরের প্রবেশদ্বার হুলারহাট নৌবন্দর থেকে হানাদার বাহিনী প্রবেশের পথে প্রথমেই তারা মাছিমপুর ও কৃষ্ণনগর গ্রামে শুরু করে হত্যাযজ্ঞ। তারপর ৮মাস ধরে স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতা ও রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু ও স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়। হত্যা করা হয় মুক্তিকামী লোকজনকে।
পিরোজপুরকে হানাদার মুক্ত করতে সুন্দরবনের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অপরিসীম।
পিরোজপুর জেলায় উপজেলা হিসেবে প্রথম মুক্ত হয় ইন্দুরকানী উপজেলা। ইন্দুরকানী উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ প্রধানত পাড়েরহাট বন্দর ও বাজার সংশিস্ট এলাকা জুড়ে ছিল। ১৯৭১ সলের রক্তঝরা দিনগুলোতে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল পিরোজপুরের বিভিন্ন অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় ইন্দুরকানী তথা তৎকালীন ইন্দুরকানী এলাকার পাড়েরহাট বন্দর থেকে হানাদার বাহিনী তাদের সকল কার্যক্রম শেষ করে চলে গিয়েছিল ২ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানে ওইদিন হানাদারদের বিরুদ্ধে আক্রমন পরিচালনা করে ইন্দুরকানীকে দখলদার পাকিস্তান বাহিনীকে উৎখাত করে।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ জানান, ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী বিদায় নেয় এ এলাকা থেকে। তাই আজকের এই দিনটিই ইন্দুরকানী পাক হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে স্বীকৃত।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap