রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
আগামী মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশে সাড়ে চার কোটি মানুষের জন্য করোনার টিকা আসবে। আগামী জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির প্রথমে দেড় কোটি মানুষের জন্য তিন কোটি টিকা আসবে। পরে আরও টিকা আসবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় টিকার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশা করছেন জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ভ্যাকসিন (অক্সফোর্ড) পেয়ে যাবেন। এজন্য গ্রাসরুট লেভেল পর্যন্ত সবাইকে ট্রেনিং দেওয়া শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করা হবে সেগুলো কীভাবে ডিসপোজাল করা হবে সেই ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে টিকা দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়েও আলোচনা করছেন।
সচিব আরও বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাস্ক পরার ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, মাইনাস ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় করোনা ভাইরাসের টিকা সংরক্ষণ হবে। গ্রাসরুট লেভেল পর্যন্ত গিয়ে দেবেন সেই স্ট্রাকচারই আমাদের নেই। একমাত্র কোল্ডস্টোরেজে রাখতে পারবেন। টেকনিক্যাল কমিটি এটা দেখবে। তারা যদি মনে করেন আমাদের যে স্ট্রাকচার আছে সেটাকে মেজর কোনো চেঞ্জ না করে দেওয়া যায় এবং হ্যাজার্ড হবে না, এটা টেকনিক্যাল বিষয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, এখন পর্যন্ত আমরা যা জানি মর্ডানা এবং ফাইজার দুইটারই মাইনাস ২৫ ডিগ্রি এবং আরেকটা মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে টিকা সংরক্ষণ করতে হবে।
বৈঠকে কুড়িগ্রাম জেলায় ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ করার জন্য আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদের আসন্ন নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দেবেন, তার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বাংলাদেশ গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস নীতিমালাও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।