বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃপিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামে স্ত্রী কতৃক স্বামী কে নির্যাতন, উল্টো স্বামীর নামের যৌতুক মামলা দিয়ে হয়রানির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্হানীয় ও মামলা সুত্রে জানাযায় দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের মোঃ দ্বীন ইসলাম ফরাজীর ছেলে মোঃ নুরুজ্জামান ফরাজী(৪০) এর সাথে পাশ্ববর্তী উপজেলা পাথরঘাটার মানিকখালী গ্রামের মোঃ বাবুল হাওলাদার এর মেয়ে মোসাঃ রুমা আক্তার (২৯)এর সাথে বিগত ১৪/০৮/২০০৩ তারিখে শরিয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রকৃত কাবিন নামা মূলে বিবাহ হয়।তাদের দাম্পত্য জীবনে ২টি ছেলে ও ১টি মেয়ে সন্তান আছে। বিবাহের পর থেকে তারা সুখে শান্তিতে সংসার শুরু করছিলো, কিন্তু জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বিবাহের ৬ মাস পরেই নুরুজ্জামান কে চলে যেতে হলো সৌদিআরব অন্য দিকে স্ত্রী রুমা বেগমের ফ্যামিলি প্লানিংয়ে চাকুরী হয়ে যায় তার বাবার বাড়ি মানিকখালী এলাকায়। এই চাকুরীই যেন কাল হয়ে দাড়ালো নুরুজ্জামান এর পরিবারের উপর।এক দিকে স্বামীর বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার গরম অন্য দিকে শুরু হয়ে গেলো নতুন পরকীয়া। শুরু হলো খুঁটি নাটি বিষয় পারিবারিক কলহ।অনুপায় হয়ে স্বামী বিদেশ থেকে দেশে এসে সংসারের হাল ধরলো,এবং স্ত্রীর কাছে বিভিন্ন ভাবে পাঠানো টাকার হিসাব চাওয়ায় শুরুহলো নুরুজ্জামান এর উপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন, এমনকি সংসার করবেনা বলে চলে যাওয়ার ভয়ভীতি সহ বিভিন্ন রকমের মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি। অনুপায় হয়ে নুরুজ্জামান মঠবাড়িয়া থানায় ২৬/০১/১৭ইং তারিখে ১৩১৭ নং ও ১৩১৯ নং দুটি সাধারণ ডাইরি করেন।শুধু তাই নয় রুমা কতৃক বিভিন্ন সময় তার স্বামী কে শারীরিক আঘাত করা ও হামলা মামলার ভয়ভীতি সইতে না পেরে রুমার শশুর দ্বীন ইসলাম ফরাজী ও মঠবাড়িয়া থানায় ১২/০৪/১৮ তারিখে একটি সাধারণ ডাইরি করেন।যাহার নং ৫৯৮. এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে সদ্য ৬/১১/২০ তারিখে পাতিলে থাকা গরম পানি নিক্ষেপ করে স্বামী নুরুজ্জামান ও বৃদ্ধ শাশুড়ীর উপর। এতে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। এরপরই গিয়ে রুমা আক্তার মঠবাড়িয়া থানায় একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে হয়রানি করে আসছে পুরো পরিবারটি কে যাহার মামলা নং ০৪/০৪। এ ব্যাপারে নুরুজ্জামান কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক বিচার দাবী করে বেচে থাকার আকুতি জানায়।