মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:১০ অপরাহ্ন
জে আই লাভলু:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ১লা ফালগুন বসন্ত বরণ উপলক্ষে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতা, ঘুড়ি, পিঠা উৎসব ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলারন পানগুছি নদীর চরে গড়ে ওঠা নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা শ্যামলী নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেষ্টে বসন্ত বরণ উপলক্ষে রবিবার বিকালে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্দুরকানী উপজেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন। এসময় তিনি শ্যামলী নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট পার্কের নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উব্দোধন করেন।
বসন্ত বরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের মুল আকর্শণ ছিল ম্যারাথন দৌড়। বিকাল সাড়ে তিনটায় সরকারি ইন্দুরকানী কলেজ মাঠ থেকে কলারন খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার পথ ম্যারাথন দৌড়ে সুদৃশ্য টি-শার্ট পড়ে অংশ নেন রেজিস্ট্রেশন করা বিভিন্ন বয়সী প্রায় ৩ শতাধিক প্রতিযোগী।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং উপজেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে ম্যারাথন দৌড়ে ১৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বিজয়ী হিসেবে ২০ হাজার টাকা মুল্যের প্রথম পুরষ্কার একটি স্যামসাং স্মার্ট ফোন জিতে নেন খেলোয়াড় রিয়াজ মোল্লা। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরষ্কার মোবাইল ফোন সহ প্রথম ১০ জনকে দেয়া হয় আকর্শনীয় পুরষ্কার। ম্যারাথন দৌড় দেখতে অসংখ্য উৎসুখ নারী-পুরুষ ইন্দুরকানী-কলারন সড়কের দু’পাশে ভীড় জমান।
এছাড়া বিকালে পানগুছি ও বলেশ্বর নদের মিলনস্থল ছৈলার চরে প্রায় ১০০ একর জায়গা জুড়ে সুন্দরবনের করমজলের আদলে গড়ে ওঠা শ্যামলী নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেষ্টে ঘুড়ি উৎসব, পিঠা উৎসব এবং সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত বরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে ইন্দুরকানী, পিরোজপুর ও পার্শ্ববর্তি মোড়েলগঞ্জ উপজেলা থেকে আগত হাজারো দর্শনার্থী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম, ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড এম মতিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মাদ আল মুজাহিদ, ইন্দুরকানী থানার ওসি মো: হুমায়ুন কবির, উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার, বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: সফিকুল ইসলাম সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি,রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক,সাংবাদিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।