রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
ইন্দুরকানী বার্তা ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। আজ (সোমবার) রাজধানীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা নেন। পরশের সঙ্গে একই হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন তার স্ত্রী আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথিও।
টিকা নিয়ে পরশ বলেন, কোনো ধরনের গুজব-অপপ্রচারে কান না দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবাই টিকা গ্রহণ করুন। অনেক দেশের আগেই শুধু রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারণে আমরা আগে টিকা পেয়ে গেছি। তাই পরিবারের সুরক্ষার স্বার্থে ও দেশের মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে সবাই টিকা গ্রহণ করুন। টিকা গ্রহণের পরেও মাস্ক পরিধান অব্যাহত রাখুন। আমরা টিকা নিয়েছি, আপনারাও টিকা গ্রহণ করুন। এখানে ভয়ের কিছু নেই।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সোমবার টিকা নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
টিকা নেওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকা আসার পর মানুষ নানা ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে আজ করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমে এসেছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশে যে টিকাটি দেওয়া হচ্ছে সেটি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কার করা এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করা। গত ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
শুরুতে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির নাগরিকরাই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছিলেন। কিন্তু এখন যাদের বয়স অন্তত ৪০ বছর হয়েছে, তারাও নিবন্ধন করতে পারছেন।
নিবন্ধন সাপেক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে দুই হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল কেন্দ্রে টিকা প্রয়োগ করছে। ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলেও সারাদেশে ব্যাপক হারে কার্যক্রম শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচির সাত দিনে নয় লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। রোববার একদিনে সারাদেশে টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৩ জন। শেষ দিনে টিকা নেওয়ার পর সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ১৮ জনের শরীরে। আর এ পর্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৪২৬ জনের দেহে।
এদিকে আগামী আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকার দ্বিতীয় চালান আসবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।। এ চালানে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ আনা হবে বলেও জানান তিনি।
যেহেতু সরকারিভাবে আসছে তাই এখনই বেসরকারিভাবে টিকা আনার কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে পাপন বলেন, নিজেদের জন্য বেসরকারি উদ্যোগে টিকার জন্য কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, কারণ সবাই ফ্রিতেই টিকা পাচ্ছে। ফলে এখনই বেসরকারি পর্যায়ে টিকা আসছে না। এতো সুন্দর ব্যবস্থাপনায় টিকাদান বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও দিতে পারছেন না জানিয়ে পাপন সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।