বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
অনুভবের জানালায়
দাঁড়িয়ে একা!
বিনয় বরণ হালদার
আমাকে তুমি জানি আজকাল আর পছন্দই করোনা
তাই ভালোবাস কি করেই বা বলি!
বলে কয়ে কি আর বলো কোনদিন মনের মেঘ সরানো যায়?
মেঘ সরাতে হলে মেঘকে বৃষ্টি বানাতে হয়
তোমার জন্যে আমার এতোটা গাঢ় অনুভব
কি করেই বা বলো প্রমাণ করি!
তোমার আমার মাঝে তো আজ দুস্তর পারাবার
সম্পর্কের সেতু বলো বাঁধি কি দিয়ে?
আমাকে তুমি আজকাল দেখতেও চাওনা
সেওতো আমি জানি!
তারসাথে এটাও জানি আমাকে তুমি যতই অপছন্দ করো না কেন, লুকিয়ে লুকিয়ে তারচেয়েও বেশি লেখাগুলো পড়ো
তুমি না বল্লেও ঠিকই টের পাই।
কেননা, সবকিছু মরে গেলেও মনের অনুমানটা তো
মরেনি।
আর তোমাকে চিনিনা, তোমার স্বভাবটা জানিনা
তাই কি কখনো হয়?
তোমার সাথে আজকাল আর একটা কথাও হয়না
কেননা, তোমার বিচারের কাঠগড়ায় আমি আত্মপক্ষ
সমর্থন ছাড়াই দোষী।
তাই তোমার অভিমানের ওপর ভুলের পাহাড় জমে জমে, আজ সে হিমালয় প্রায়
এতো পাহাড় কি দিয়েই বা গলাই
আমি শব্দ কারিগর বটে, শব্দ নিয়েই খেলা
হৃদয় শুশ্রূষা করবো এমন উপযুক্ত নরম শব্দের
সঞ্চয় কোথায়?
তবুও বলি, বৃষ্টি না হলে মেঘের দোষ কোথায়?
কৃষক বোনে শষ্য তবুও সব শষ্যে কি সৌভাগ্য ফলায়!
তোমাকে ভালোবাসি আজও সেটা বৃষ্টির মতোই সত্য
তবুও সব বৃষ্টিতে কি শরীর জুরায়!
সুতোটা সত্যি ছিলো
ছিলো সুতোকে মালা করার প্রবল টানও
তবুও কেন জানিনা মালাটা হলোনা গাঁথা
সঠিক পরিচর্যায়!
আমাকে ভালোবসোনা তুমি
কিন্তু আমার কবিতাকে তো বাসো
তাই মনে রেখো যতদূরেই থাকো তুমি
তবুও কবওতার শব্দ হয়ে ঠিকই প্রতিদিন ছুঁয়ে যাবো তোমায়!
আমাকে ছুঁয়োনা তুমি
তবুও জানি কবিতাগুলো ঠিকই ছুঁতে ডাকবে তোমায়!
কবিতাকে এড়াবে এতটা অবিবেচক কি করেই বা ভাবি তোমায়!