শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন

চেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ!

চেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ!

0 Shares

ইন্দুরকানী বার্তা ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ ফেরদৌস আজিজের বিরুদ্ধে ১০৬টি চেক জালিয়াতি করে ৩৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিআরডিবির উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মোহাম্মদ ফেরদৌস আজিজকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরও চারজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের একজন যুগ্ম পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিআরডিবির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে আদায় করা ঋণের কিস্তির টাকা কটিয়াদী উপজেলার অগ্রণী, কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে জমা রাখা হতো। সেই টাকা হিসাবরক্ষক ফেরদৌস দীর্ঘদিন ধরে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে নিতেন। এই ঘটনায় চেক বই বাতিলের জন্য কটিয়াদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।

হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ ফেরদৌস আজিজ বলেন, অফিসের প্রধান কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়া কোনোভাবেই টাকা তোলা যাবে না। অফিসের প্রধান কর্মকর্তা ও আমার যৌথ স্বাক্ষরেই এ টাকা ওঠানো হয়। বিভিন্ন সময় খরচ দেখিয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তারা চেকে আমার সই নিয়ে টাকা তুলেছেন। তারা কীভাবে সেই টাকা খরচ করেছেন, সে হিসাবও কখনো আমাকে দেননি। ব্যাংকের চেকবই ও সব কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই করলে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব।

কটিয়াদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ যাওয়ার পর আমাকেও এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আমিও এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছি। আমিসহ চারজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করেছেন হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ ফেরদৌস আজিজ। তিনি ইউএনওর স্বাক্ষর পর্যন্ত জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন। এর সম্পূর্ণ দায়ভার হিসাবরক্ষকের। তদন্ত শেষেই প্রকৃত রহস্য জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

বিআরডিবি যুগ্ম পরিচালক ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে দেখতে কাজ কাজ করছি। যেহেতু অভিযোগের সঙ্গে যাবতীয় বিল ভাউচার, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট ও চেকের বিভিন্ন বিষয় জড়িত, তাই সেগুলোও যাচাই করছি। আপাতত অভিযুক্তকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ বিআরডিবির উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি প্রথমে মোহাম্মদ ফেরদৌস আজিজের বিরুদ্ধে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ পাই। যা তদন্তে সত্যতা প্রামাণিত হয়েছে। পরে আরও অনিয়ম যাচাই করতে বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠাই। বোর্ড থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সব বিষয় তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভাগীয় ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap