মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০০ অপরাহ্ন
ইন্দুরকানী বার্তা ডেস্ক :
শবে বরাত উপলক্ষে পুরান ঢাকার চকবাজারে বুটের হালুয়া, মাস্কাট হালুয়া, মাখাদি হালুয়া, সুজির হালুয়া, গাজরের হালুয়া ও ফ্রেঞ্চি রুটির বেচাকেনার ধুম চলছে। প্রতিবছর চকবাজারে এই আয়োজন হয় বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
এছাড়া শবেবরাত উপলক্ষে মাসের বড়া, জিলাপি; রোজাদারদের জন্য ঠাণ্ডা দই, মতিচুর লাড্ডু, রসমালাই, মাওয়া লাড্ডু পাওয়া যাচ্ছে। চকবাজার ছাড়াও নারিন্দা, ওয়ারী, রায় সাহেব বাজারসহ আশপাশের এলাকায় এসব রুটি-হালুয়া কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
সোমবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে চকবাজারে রুটি হালুয়াসহ বিভিন্ন রকমের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ভাসমান ও স্থায়ী দোকানদাররা। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত চলবে হালুয়া রুটির এই বেচাকেনা।
চকবাজার ঘুরে দেখা যায়, গোলাপ ফুল, কাঁঠাল, মাছ, মধুবন নামের বিভিন্ন ধরনের রুটি পাওয়া যাচ্ছে। এসব রুটি কেজি ভেদে সর্বোচ্চ ২০০-৩৫০ টাকার মধ্যে মিলছে।
এছাড়া ১ কেজি বুটের হালুয়া ৪০০ টাকা, আধা কেজি ২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গাজরের হালুয়া প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, শাহী জিলাপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
জমজম বেকারির মো. আব্দুল ওহাব বলেন, ‘আমাদের বেচাকেনা জমজমাট। ক্রেতার সংখ্যা ভালোই আছে।’ আনন্দ দোকানের কর্মচারী মো. সুলাইমান বলেন, ‘রুটির চাহিদা প্রচুর। দুই ঘণ্টার মধ্যে রুটি বিক্রি প্রায় শেষ হয়ে গেছে। শবেবরাত উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা এগুলো তৈরি করি।’
জিলাপি বিক্রেতা মো. পলাশ বলেন, ‘ক্রেতার উপস্থিতি ভালোই। শবেবরাত উপলক্ষে ক্রেতা বাড়ছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি বিক্রি হচ্ছে। আজকে চকবাজারের আমেজটাও ভিন্নরকম হয়েছে।’
হালুয়া-রুটি কিনতে আসা মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের আইটেম পাওয়া যাচ্ছে এখানে, চকবাজার ছাড়া এগুলো অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। শবেবরাত উপলক্ষে রুটি হালুয়া নিয়েছি বাসার জন্য।’