শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন

১২ বছরেও চালু হয়নি ইন্দুরকানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

১২ বছরেও চালু হয়নি ইন্দুরকানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

0 Shares

ইন্দুরকানী বার্তা ডেস্ক :
কোটি কোটি টাকা খরচ করেও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার লাখো মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৫০ শয্যার আধুনিক ভবন ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, মেডিকেলের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ পর্যাপ্ত অফিস ব্যবস্থাপনা থাকলেও গত ১২ বছরেও চালু হয়নি ইনডোর সেবা বা আবাসিক চিকিৎসা।
লোকবলেও রয়েছে সংকট, আবার যারা দায়িত্বে আছেন মানছেন না অফিস টাইম। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নৈশপ্রহরী দিয়ে চালানো হচ্ছে ইমারজেন্সি বিভাগ।

বর্তমান সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই আলোকে পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের মান বৃদ্ধির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা আধুনিক ভবন নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, মেডিকেলের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ অফিস ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। এতো কিছু থাকলেও গত ১২ বছরে চালু হয়নি হাসপাতালটির ইনডোর সেবা বা আবাসিক চিকিৎসা।

স্থানীয় বেশ কিছু রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে ইন্দুরকানী হাসপাতালটি চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইনডোর সেবা চালু হয়নি শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানির অভাবে। ফলে এ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং উন্নতমানের চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীদের পিরোজপুর, খুলনা, বরিশাল এমনকি ঢাকাতে গিয়েও চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালের উন্নয়নে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও মূল সমস্যা বিশুদ্ধ পানির অভাব। পানি সমস্যা সমাধানে কাজ করেনি কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই চালু হচ্ছে না আবাসিক চিকিৎসা।

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

এদিকে হাসপাতালটিতে লোকবলেও যেমন রয়েছে সংকট আবার যারা দায়িত্বে আছেন মানছেন না অফিস টাইম। হাসপাতালটির হাজিরা খাতায় দেখা যায় প্রধান সহকারী খালেদা নাসরিনসহ কয়েকজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেই নিয়মিত। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নৈশপ্রহরী দিয়ে চালানো হচ্ছে ইমারজেন্সি বিভাগ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিচালনায় বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান ইন্দুরকানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আমিন-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে লোকবলেও যেমন সংকট রয়েছে এবং পানি সমস্যা সমাধান হলে আবাসিক চিকিৎসা দিতে পারবো।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার জানান, দ্রুত সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু ইনডোর সেবা চালু না থাকার কারণে তাদের প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে। তাই এ সমস্যা দ্রুত সমাধানে এগিয়ে আসবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী জনগণের।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap