শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
ডিম লাগবে ডিম। মুরগির ডিম, হাঁসের ডিম। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এভাবেই শহরের অলি-গলি ঘুরে ডিম বিক্রি করছেন বৃদ্ধ মো. জামাল উদ্দিন (৬০)। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে শহরের অলি-গলি ঘুরে এভাবেই ডিম বিক্রি করেন তিনি। ডিম বিক্রি করে আজ তিনি স্বাবলম্বী।
ডিম বিক্রেতা জামাল বলেন, আমার পথ কখনো সহজ ছিল না। আমি অনেক পরিশ্রম করে এ পর্যন্ত এসেছি। আমার বিয়ের কয়েক বছর পর একে একে দুইটি মেয়ে হয়। মেয়ে আল্লাহর বড় নেয়ামত। আমি ও আমার পরিবার কষ্ট করে মেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছি।
স্বরুপকাঠি থেকে ডিম পাইকারি কিনে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ডিম বিক্রি করি। ফার্মের মুরগির ডিম বর্তমানে কুড়ি ১৫০ টাকা আর হাঁসের ১৭০ টাকায় বিক্রি করি। প্রতিদিন ৭০০ ডিম বিক্রি করা হয়।
জামাল উদ্দিন, ডিম বিক্রেতা
জানা গেছে, সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের মো. রফিক হাওলাদারে ছেলে জামাল। ৩০ বছর আগে পরিবারিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবুল ফরাজির মেয়ে তাসলিমা খাতুনকে বিয়ে করেন জামাল। তাসলিমা জামাল দম্পতির ঘর আলো করে আসে দুই মেয়ে।
জামাল জানান, ডিম বিক্রি করে তিনি জমি কিনেছেন। জমিতে তিনি ঘরও নির্মাণ করেছেন। আল্লাহর রহমতে মেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছেন।
শহরের সদর রোর্ড এলাকার বাসিন্দা নিপা চৌধুরী বলেন, জামাল ভাইয়ের কাছ থেকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডিম ক্রয় করি। তার ডিমগুলো অনেক ফ্রেশ এবং তিনি বাছাই করে ডিম দেন।
বদরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. লিয়াকত বলেন, জামাল ভাই একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে হেঁটে ডিম বিক্রি করেন। যে কেউ চাইল জামাল ভাইকে অনুকরণ করতে পারে।