শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন
লকডাউনে তরমুজ বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় পিরোজপুরের চাষিরা
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী চলা লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন পিরোজপুর সদর উপজেলার চালিতাখালী গ্রামের তরমুজ চাষিরা। লকডাউনের কারণে দূর-দূরান্তের পাইকারি ক্রেতারা তরমুজ কিনতে আসবেন কিনা এ শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।
পিরোজপুর সদরের সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের চালিতাখালী গ্রামে তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। তাই প্রতিছরই সেখানে বাড়ছে তরমুজের আবাদী জমির পরিমাণ। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার কৃষক ও শ্রমিকের।
পিরোজপুরের তরমুজ সুস্বাদু হওয়ায় দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যেই পুরোদমে তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।
তবে গত বছর তরমুজ বিক্রির সময় করোনার জন্য সারাদেশে লকডাউন শুরু হয়। হাটবাজার বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতারাও পিরোজপুরে আসা বন্ধ করে দেয়। ফলে স্থানীয় পাইকারি ক্রেতাদের কাছে কম দামে তরমুজ বিক্রি করতে বাধ্য হন তারা।
তাই এ বছরও তরমুজ বিক্রির সময় লকডাউন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন চাষিরা। এছাড়া এবার বৃষ্টি না হওয়ায় বিভিন্ন প্রকার ভাইরাসের সংক্রমণও দেখা দিয়েছে তরমুজ ক্ষেতে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ বলেন, এবার তরমুজ কিছুটা দেরিতে চাষ হয়েছে। তাই আসন্ন রমজানে চাষিরা এর ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছি।
তিনি আর বলেন, এক সপ্তাহ পর লকডাউন শেষ হবে। তাই তরমুজ বিক্রি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আর তরমুজ বিক্রিতে চাষিদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবে কৃষিবিভাগ।
প্রসঙ্গত, এ বছর পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। যা গত বছর ছিল মাত্র ২৫ হেক্টর।