মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
এজাজ চৌধুরী স্টাফ রিপোর্টারঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার থানা পাড়া কলবাড়ি পর্যন্ত আঞ্চলিক মহা সড়কের দীর্ঘদিন জনভোগান্তির পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজীর দৌড়ঝাঁপ বিরামহীন তদবীর ও একাধিকবার সংসদে সমস্যা উত্থাপনের পর প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে চলতি বছর একনেকে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ ১৭ কোটি টাকার অনুকুলে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেন। এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মনে বাঁধভাঙ্গা খুশির আমেজ বইতে শুরু করে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েষ্টার কনেষ্ট্রাকশন কাজটি শুরু করলেও কাজের গুনগত মান ড্রেনের স্থান নির্ধারণ কোন কোন স্থানে জোড়ালে তদবীর আবার লোক মুখে গুনজন রয়েছে অর্থের বিনিময় রাস্তা সংলগ্ন ভবনের সুরক্ষা দিতে ড্রেনের প্রশস্থতা সেখান থেকে ছোট করার পরিকল্পনা নিয়ে ভেকু পরিহার করে কয়েকজন লেভারের মাধ্যমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে কাজ মন্থর গতিতে চলছে।
অপরদিকে রাস্তার দুধারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অফিস বাসা কোন অংশ সীমানার মধ্যে থাকলে সে গুলো দেদারছে ভাঙলেও কতিপয় প্রভাবশালী বিত্তবানদের সবকিছু ঠিক ঠাক রেখে যেমন খুশি তেমন সাঝোরমত করে কাজটির গতিবিধি অনেকটা প্রতিয়মান হচ্ছে। এছাড়া কাজের নিতীমালার তোয়াক্কা না করে নি¤œমানের পাথর, রড ও যথার্থ সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে না। এছাড়াও তদারক বিহীন রাতের আঁধারে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। যে ঘটনায় ঠিকাদারকে জনতার তোপের মুখেও পরতে হয়েছে।
এ বিষয় সহযোগী ঠিকাদার লিমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে সে নাম্বারটি রিসিভ না করে তা কেটে দেন। ৫নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা কামরুজ্জামান বলেন, ৬ ফুট ড্রেনের প্রশস্থতার নিয়ম থাকলেও কিছু কিছু জায়গায় ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থে রহস্যজনক কারণে স্থানীয় কিছু দালালের মাধ্যমে কেউ কেউ নিজের বাসা বাড়ির রক্ষায় নির্ধারিত ড্রেনের স্থান থেকে তাদের ভবনের অবস্থান একবিন্দু মাত্র সরাতে নারাজ। সেকশন অফিসার আলী আকবর জানান, কার কোথায় স্থাপনা রয়েছে সেটি দেখার বিষয় নয়। সব স্থানের ড্রেনের পরিধি সমান হবে এবং শিডউল অনুযায়ী কাজ করা হবে।
সুশিল সমাজের অভিযোগ, কাজ চলাকালীন কাজের যথাযথ মান নির্ণয় করতে অফিসের লোকজন থাকছেনা। নিয়মানুসারে রডের ঝালিতে অতিরিক্ত ফাঁকা ও ঢালাইয়ের কাজে বাইব্রেটার ব্যবহার না করে মান্দাতার আমলের বাঁশের গাদানী দিচ্ছেন ও রিতিমত পানি দেয়া হচ্ছে না। যে কাজে শুভংকরের ফাঁকি থেকেই যাচ্ছে। যে কারণে এলাকার জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আজিম উল হক বলেন, রাস্তাটি মেরামত ও প্রশস্থ করণ এ জনপদের প্রতিটি মানুষের প্রাণের দাবী ছিল। আর সে খানে যদি কোন ধরনের অনিময়ম দুর্নীতি হয় তা হলে কোনদিনই তা বরদাশত করা হবে না। এ বিষয় পিরোজপুরের সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ সুমনের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।