বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
জে আই লাভলু:
২৫ জুন উদ্বোধন হয় দেশের বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। দেশের বৃহত্তম এ সেতুটির উদ্বোধনকে ঘিরে দক্ষিণের জেলা পিরোজপুর জুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। ইতিহাসের সাক্ষী হতে শনিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে লঞ্চ যোগে শুক্রবার বিকেলে রওনা হন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন স্তরের জনসাধারন।
পিরোজপুর জেলা থেকে মোট আটটি লঞ্চে ২০ হাজার লোক যোগ দেন আয়োজিত এ সমাবেশে। এতে সকল উপজেলার জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, জেপির নেতৃবৃন্দ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সহ অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক, সাংবাদিকসহ অনেকে। উৎসব মুখর পরিবেশে উব্দোধনী এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজের নেতৃত্বে ১৫ হাজারের বেশি লোক যোগ দেন আয়োজিত জনসভায় ।
মহিউদ্দিন মহারাজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে জেলার ইন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া, কাউখালী, মঠবাড়িয়া,স্বরুপকাঠি এবং পিরোজপুর সদর উপজেলা থেকে পারাবত-৮,কীর্তনখোলা-১০, যুবরাজ-৭, সুরভী-৯, মর্নিংসান-৯ ও ঈগল-৮ এ ছয়টি বিলাস বহুল লঞ্চে চড়ে পদ্মার পাড়ে যান পিরোজপুর জেলার লোকজন। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে আসা লঞ্চ গুলো সাজানো হয় বর্নিল সাজে। পিরোজপুরের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ গুলোর বহর দেখতে নদীর দুপাড়ে জড়ো হন বিভিন্ন বয়সী অসংখ্য নারী পুরুষ। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ছয়টি বিশাল আকৃতির লঞ্চ ভাড়া এবং প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মীর চারবেলা খাবারসহ যাবতীয় ব্যয়ভার ব্যক্তিগতভাবে বহন করেন তিনি। এজন্য সকলে তাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
ইন্দুরকানী থেকে ছেড়ে আসা পারাবত-৮ লঞ্চে গমন করেন তিনি। সারা রাত গান বাজনা আর দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতিত্ব নিয়ে গল্প গুজবে সময় কাটে আগত নেতাকর্মিদের। রাতের নীল আকাশে আতশবাজির বর্নিল আলোকছটা, গান বাজনা আর আনন্দ উল্লাসে শনিবার সকালে সমাবেশস্থলে হাজির হন সবাই। এরপর লঞ্চে আসা লোকজন নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার নেতৃত্বে একযোগে আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন তিনি। মহারাজের নেতৃত্বে সাজ সজ্জায় ঘেরা লঞ্চ আর বর্নাঢ্য শোভাযাত্রাটি নজর কাড়ে পদ্মার পাড়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জড়ো হওয়া অসংখ্য সাধারন মানুষের। এসময় পিরোজপুরবাসীকে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান অন্য সব জেলার মানুষ।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক মহিউদ্দিন মহারাজ প্রতিবেদককে জানান, পদ্মা সেতু নির্মান, শেখ হাসিনার অবদান। আর এ সেতুটি দক্ষিণ অঞ্চল বাসীর জন্য অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ণ ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রীকে আমার জেলাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, একসাথে সবাইকে নিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাবেশে আসতে পেরে নিজের কাছে খুব ভাল লাগছে। সুশৃংক্ষল ভাবে আমার পিরোজপুর জেলার হাজার হাজার মানুষ স্বতস্ফূর্ত ভাবে এ অনুষ্ঠানে যোগদান করায় দলীয় নেতাকর্মি সহ সর্ব স্তরের জনসাধারনকে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।