রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
মিঠুন কুমার রাজ, স্টাফ রিপোর্টার:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ভাগ্নের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয়েছে বৃদ্ধ মামা। আজ রোববার সকালে উপজেলার দক্ষিন ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ভাগ্নে মজিরুল আকনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
স্থানীয় থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ হাচেন আলী হাওলাদারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত ভেটেনারি চিকিৎসক আঃ খালেক হাওলাদার (৭০)কে এলজিইডি ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দক্ষিন ভবানীপুর গ্রামের আঃ বারী ফকিরের বাড়ির পাশের নালায় ফেলে তার সৎ বোনের ছেলে ভাগ্নে মজিরুল আকন চুবিয়ে হত্যা করে।
পরে খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে ওই নালা থেকে উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার বিশ^জিৎ রায় প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকা মজিরুল আকনকে (৪০) স্থানীয়রা দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের মনোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে আটক করে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। মজিরুলকে আটকের সময় স্থানীয় মোঃ ফারুক হোসেন মাষ্টার ও মোঃ সোহাগ হোসেন তার হামলায় আহত হন।
উল্লেখ্য, মামা আঃ খালেকের সাথে ভাগ্নে মজিরুলের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ভাগ্নে মজিরুল উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের মৃত আঃ ছত্তার আকন ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী জোছনা বেগম জানান, মজিরুল আকন পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে কি যেন করছিল। এসময় আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে মোবাইল ফোন পড়ে গেছে সেটা খুজঁতেছি।
নিহতের ছেলে মোঃ কামাল হোসেন জানান, মজিরুল ১০ বছর পূর্বে আমার পিতাকে মারধর করেছিল। এরপর আমার পিতা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এছাড়া তার সাথে আমাদের আর কোন বিরোধ ছিল না। খুনি রোববার সকালে আমার বাবাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।
ইন্দুরকানী থানার ওসি এনামুল হক জানান, আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছি এবং অভিযুক্ত মজিরুল আকন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার মামাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাচান জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হবে।