সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে রাতের আধারে অন্যের বাগান থেকে সুপারি চুরি করতে যেয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে কামরুল ইসলাম নাঈম নামে জাতীয় পার্টি-জেপির স্থানীয় এক নেতা। ধরা খাওয়ার পর গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। বুধবার (১৭ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের চরণী পত্তাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কামরুল ইসলাম নাঈম চরণী পত্তাশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টি-জেপির সহ-সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি গত ইউপি নির্বাচনে পত্তাশী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পথে প্রতিদ্বন্দীতা করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চরনী পত্তাশী গ্রামে কামরুল ইসলাম নাঈম খানের নেতৃত্বে তার চারজন সহযোগী একটি বাগান থেকে সুপারী চুরি করে। তখন সুপারী বাগানের মালিক মোজাম্মেল ও স্থানীয়রা মিলে সুপারিসহ কামরুলকে ধরে ফেলে। এসময় গণধোলাই দিয়ে রাতেই ইন্দুরকানী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় তাকে। তবে এসময় অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম নাঈমকে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ।
সুপারি বাগানের মালিক মোজাম্মেল হোসেন জানান, সুপারী চুরির অভিযোগে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে চোরাই সুপারী সহ স্কুল কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম নাঈমকে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে তার স্বজনদের কথায় শালিশ বৈঠকে মিমাংসার শর্তে থানা থেকে মুক্ত করা হয়।
অভিযুক্ত সভাপতি কামরুল ইসলামের ভাই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আঃ রাজ্জাক খান জানান, রাতে কয়েক ছড়ি সুপারি দেখেছি, এটা ষড়যন্ত্র হতে পারে। তবে তিনি এ বিষয় মিমাংসা হবে বলে জানান।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ এনামুল হক জানান, চোরাই সুপারি সহ রাতে কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে চুরির অভিযোগে পুলিশের কাছে তুলে দেয় স্থানীয়রা। অভিযোগকারী এজাহার না দেয়ায় স্থানীয়ভাবে মিমাংসার শর্তে পরে ঐ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।