শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
গত ১৮ই জুন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় “মাঠ ভরাট দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ” শিরোনামে এবং ১৯ জুন কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদে বিদ্যালয়টির সম্পূর্ণ মাঠ ভরাট না করে অর্থ আত্মসাৎ সহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে অনিয়ম এবং সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতির তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এ বিভ্রান্তমূলক তথ্য সম্বলিত উক্ত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এর সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরছি…
ইন্দুরকানী উপজেলার ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ৬৯ নংপূর্ব-চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কাবিটা প্রকল্প হতে পিরোজপুর-২ আসনের এমপি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিশেষ বরাদ্ধ থেকে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। উক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমি বালু দ্বারা সম্পূর্ণ মাঠ ভরাটের কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আমার শ্রমিকদের বাধা প্রদান করেন। তাদের দাবি ওই বিদ্যালয়টি ৩৩ শতাংশ দানকৃত জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৩ শতাংশ জমির বাইরেও বেশি জমি ব্যবহার করছে। বিদ্যালয়টির চারপাশে জমির কোন সীমানা না থাকায় বাইরের ব্যক্তি মালিকানা জমিতে বালু ফেলার ব্যাপারে তখন তারা সরেজমিনে এসে বাধা প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললেও কোন সুরাহা হয়নি। এমনকি বিষয়টি আমি তখন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকেও অবহিত করি। তাই স্থানীয়দের বাধার মুখে তাদের দাবীকৃত জায়গা বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ের ভবনের পশ্চিম পাশে এবং মাঠের সামনের অংশে অর্ধেকটা জুড়ে ৬ হাজার ফুট বালি ফেলে মাঠ ভরাট করে দেয়া হয়। জমিদাতাদের আত্নীয়-স্বজনদের বাধার কারনে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করে মুলত বাকি কাজ স্থগিত রাখা হয়। আর এ কারনে যতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে সে অনুযায়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক টাকা (৫০ হাজার) পরিশোধ করা হয়। তবে বাধার কারনে স্থগিত থাকা প্রতিষ্ঠানটির মাঠ ভরাটের বাকি কাজ সম্পন্নের জন্য গত ১৮ জুন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে পুনরায় বাকি অংশে মাঠে বালি ফেলার অনুমতি দেন। সে অনুয়ায়ী পূর্ব প্রান্তে মাটির বাধ দিয়ে ২০ জুন আরো ৬ জাহাজ মোট (২২৮০০ ফুট) বালি ফেলে সম্পূর্ণ মাঠ ভরাট করা হয়।
এদিকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করার আগে আলোচনার মাধ্যমে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি। কিন্তু এখানে কমিটির দু এক জন সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে যে জালিয়াতির অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সঠিক নয়। মুলত একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তি আক্রোশ মিটানোর জন্য উক্ত প্রকল্পের কাজটি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ঢালাওভাবে অভিযোগ উত্থাপন এবং স্থানীয়দের উস্কানি দেয়া সহ সাংবাদিকদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে উক্ত সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। আমি বরাদ্দকৃত অর্থ অনুযায়ী উক্ত প্রকল্পের কাজটি সঠিক ভাবে করার জন্য চেষ্টা করেছি। আমার এ কাজে কোন ধরনের গাফিলতি কিংবা কাজ অমসম্পূর্ণ রেখে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করার মত মানসিকতা নেই। আমার ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুন্ন করে হয়রানী করার জন্যই মুলত এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে। তাই আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মো: মিরাজুল ইসলাম
উদ্যোক্তা
চন্ডিপুর ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র।
ইন্দুরকানী,পিরোজপুর।