বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
ইন্দুরকানী বার্তা:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম (এমপি) বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন একজন ভালো দক্ষ সংগঠক। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্ণেল আতাউল গনি ওসমানীর পরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। শেখ কামাল শুধুই একজন সংগঠক নন একই সাথে তিনি একজন ভালো অভিনয়শিল্পী, ভালো ক্রীড়াবীদ এবং ভালো সুরবাদক ছিলেন।
মন্ত্রী শনিবার সকালে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, রাষ্ট্রপতির ছেলে হওয়া সত্বেও শেখ কামাল সবসময় সাদামাটা জীবন যাপন করেছেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর বাসায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিলো যেটা শেষ করেছে শিশুপুত্র রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে। ঘাতকের নির্মম বুলেটের হাত থেকে সেদিন মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানটিও রেহাই পায়নি।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতা চালু করেছেন, ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, বসবাসের ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তাদেরকে মূল্যায়ন না করে দেশের মঙ্গল করা সম্ভব নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক সচিব এম সামসুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, পৌর মেয়র গোলাম কবির, সহকারি পুলিশ সুপার সাবিহা মেহেবুব, উপজেলা আ. লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাবেক সম্পাদক এস এম ফুয়াদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহান, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, প্রেস ক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাশেষে উপজেলারা অসচ্ছল ১১ টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হাতে বীর নিবাসের চাবী হস্তান্তর করেন মন্ত্রী। এর পূর্বে মন্ত্রী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং তার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। পরে মন্ত্রী উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এ্যাসোসিয়েশন আায়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।