রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
শিরিনা আফরোজ
বুকের গভীরে এক অব্যক্ত ব্যথা
তীব্র যন্ত্রনায় যেনো রক্তক্ষরণ
একদিকে গলাকেটে প্রিয় সহকর্মীকে
হত্যা অন্যদিকে মৃত্যুর সাথে লড়ছে
এক ইউ এন ও বোন।
এক বন্ধু আর এক বন্ধুর
হাত কেটে ফেলে সোজা।
স্বদেশ আমার বয়ে বেড়াচ্ছে
কতো অচেনা বোঝা।
অদেখা অদৃশ্য করোনায়
জীবন যখন অনিশ্চিত
পৃথিবীর প্রতিটি ঘরে যখন
শঙ্কা ডর মৃত্যু ভয়!
তখন ও দানবেরা আরও দানবিক
বিন্দু মাত্র মানবিক নয়।
তখনও ওরা ওই পিশাচেরা
নির্মম নির্দয় ভাবে নৃশংস হত্যা করছে।
দিকে দিকে এদের সংখ্যা ই যেনো
জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।
পাড়ার মোরের রহিমা বুয়ার
অশিক্ষিত ছেলেটিও
আজ অনেক বড় নেতা।
অশতিপর বৃদ্ধ করিম চাচাও
তার ভয়ে বলেন না কথা।
খুনের আসামী জামিন নিয়ে
নেতা সেজেই ঘোরে।
এদের কদর বেশি ই থাকে
দলের অভ্যন্তরে।
পাড়ায় পাড়ায় কিশোর গ্যাঙ নামে
নব্য নেতার সৃষ্টি
রাষ্ট্র কিম্বা পরিবার এ ব্যাপারে
দিচ্ছে না সু দৃষ্টি।
ধর্ম বিবেক ঝিমিয়ে ঘুমায়
অথবা বস্তা বন্দী
লোভাতুর মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে
করে নানান ফন্দি।
আসল নকল সব একাকার
আমি তুমি চুপ রই
কোথায় মুজিব?কোথায় ভাসানি
আদর্শ চেতনার বই?
কোথাও কোথাও সত্যের চেয়ে
মিথ্যার জোর বেশি।
এই খেলাটা সঠিক তো নয়
বড়ই সর্বনাশি।
মসজিদ, মন্দির, গ্রাম গন্জ হাট
বিভাজন জনে জনে
ঐক্যের চেয়ে মতানৈক্য বেশি
হিংসা বিদ্বেষ মনে।
সোনার দেশের সোনা সন্তানেরা
নানা নেশায় ডুবে।
বলো মা তোমার সোনার বাঙলায়
ফলবে সোনা কবে??