বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন

ইন্দুরকানীতে করোনার প্রভাবে বেড়েছে চুরি : সিসি ক্যামরা স্থাপনের দাবি

ইন্দুরকানীতে করোনার প্রভাবে বেড়েছে চুরি : সিসি ক্যামরা স্থাপনের দাবি

0 Shares

ইন্দুরকানী প্রতিনিধি : ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ঘটছে চুরির ঘটনা। এর কারণ হিসাবে দায়ী করা হচ্ছে করানায় কর্মহীন বেকারদের। যারা বিভিন শহর থেকে কর্ম হারিয়ে এখন গ্রামে এসে বসবাস করছে। আবার অনেক সাধারণ পরিবারের যুবক ও মাঝ বয়সীরা ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়ায় মত্ত থাকে গভির রাত পর্যন্ত।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে চায়ের দোকানসহ নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই জুয়াড়িরা ভিড় জমায়। আর জুয়া খেলার অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে আবার জড়িয়ে পড়ছে চুরির ঘটনায়। খেলা শেষে যারা হেরে যায় তারা নতুন করে অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে মানুষের বাড়িতে হানা দিচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে বলে স্থানীয়দের ধারনা। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে তারা। এসময় মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি করছে চোরেরা।

সম্প্রতি ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু চুরির ঘটনা ঘটেছে। অনেক বাড়িতে সিঁধল চুরি হচ্ছে। আবার খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেও চুরি হয়েছে বলে অভিযাগ পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি রিক্সা, ভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটা রিক্সাও চুরি হয়েছে বেশ কয়কটি। বর্তমানে অনেকের বাগানের শুপারি পর্যন্ত চুরি করা হচ্ছে নিয়মিত। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার রামচদ্রপুর গ্রামের মুজিবর শিকদারের গ্যারেজ থেকে আঃ হাকিম হাওলাদারের পুত্র আবুল হোসেনের রিক্সার ব্যাটারী এবং ইসাহাক শেখের পুত্র আঃ হাই শেখের ব্যাটারী চালিত রিক্সা চুরি হয়েছে।

গত তিন মাসে উপজেলার কেয়ার পত্তাশী রোড থেকে গ্যারজের সাটার ভেঙ্গ বেশকয়েকটি ব্যাটারি চালিত রিক্সা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ইন্দুরকানী ইউনিয়নের শুধুমাত্র চাড়াখালী গ্রামেই ১১ বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়ছেন ছগির হাওলাদার, সাইফুল হাওলাদার, নাসির হাওলাদারসহ একাধিক ভুক্তভাগীরা।

উত্তর ভবানিপুর গ্রামের মোতালেব হাওলাদারের ছেলেল মেহেদী হাসান জানান, প্রায় ২৫ দিন পূর্বে তাদের ঘরে সিঁধল চোর হানা দিয়ে নগদ ৩৫ হাজার টাকা, ৩২ হাজার টাকা মূল্যের কানের দুল ও একটি মোবাইল ফোন চুরি করে। এ ঘটনায় ইন্দুরকানী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন তারা।

১৭ অক্টোবর উপজেলার দক্ষিণ ভবানিপুর গ্রামের ডাকুয়া বাড়ির উত্তম ডাকুয়া ও দ্বীজেন ডাকুয়ার ঘরের লোকদের খাবারের সাথ চেতনা নাশক ওষুধ সেবন করিয়ে দুটি ঘর চুরি করা হয়। ওষুধ মিশ্রিত খাবার খেয়ে ৮ জন অসুস্হ হয়ে পড়ে। একের পর এক চুরির ঘটনায় এলাকার মানুষ এখন সংকিত।

ইন্দুরকানী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন সমাজের বিশিষ্টজনরা।

রিক্সা চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই চুরির সাথে জড়িত। এই চক্রটি ধরার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। আইনশৃঙ্খলাখলা রক্ষায় আমাদের নিয়মিত টহল আরো জোরদার করা হয়েছে।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap