বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
মেয়ে
শিরিনা আফরোজ
কই যাচ্ছ মেয়ে ,
সামনে কূপ পেছনে খাঁদ।
স্থির হও মেয়ে,
বাতাসে রজনীগন্ধার ঘ্রান
আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ।
জন্মমাত্র আকুলি বিকুলি
চিৎকারের সময় থেকে
যারা তোমাকে হাজার টা না বলেছে,
যারা তোমার প্রাকৃতিক বেড়ে ওঠাকে
লজ্জায় আড়ষ্টতায় মুড়ে দিয়েছে !
যারা সময় অসময়ে প্রয়োজনে
অপ্রয়োজনে তোমার লজ্জাস্থান
স্পর্শ করেছে , তারা কিন্তুু আছে ,
এখানে ওখানে, ঘরে বাইরে সবখানে।
আরও কত আছে রাক্ষস রাক্ষুসী
আছে উড়নচন্ডি , দাতাল মাতালের দল।
ভয় পেওনা মেয়ে!
তুমিও নিজেও কিন্তুু জানো
প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে
এইসব অন্ধকারের বিস্তৃত
চাদর সরিয়ে আলোর আহব্বান
করেছিলেন বেগম রোকেয়া, খালাম্মা
সুফিয়াকামাল, ইলামিত্র সহ
সারা দুনিয়াব্যাপী আরও কতজন।
আজকের সভ্যতায়, সাহসে, শিক্ষায়
মক্তব, পাঠশালা, মসজিদ, মন্দির, গির্জায়
তোমাকে খুব বেশি প্রয়োজন।
ধরনীর তুমি অর্ধাংশ, তুমি জননী জায়া
তুমি দশহাতের দেবী, অসুর বিনাশী দুর্গতি
নাশিনি, তোমার অন্তরে মাতৃত্বের মায়া।
হেসেলের আগুনে জীবন জ্বালিয়ে
চাওয়াপাওয়ার বিসর্জন নয়।
মেয়ে ভেঙেচুরে গড়তে হবে নিজেকে
এটাই সেই সময়।
পেছনের লোকেরা হাজার বলুক
লক্ষ রাখো সুস্থীর।
বোঝা নও তুমি পরিবার বা সমাজের
গৌরব এ পৃথিবীর।
তোমার চোখেও স্বপ্ন হাজার
ইচ্ছেরা ডানা মেলে।
তোমার মনেও নানান রঙে
আশার প্রদীপ জ্বলে।
তোমার আকাশে চাঁদ সূর্যের
নিত্য আনাগোনা।
ধর্মে কর্মে সমান জুড়ি পরিপক্ক ষোল আনা।
ঝরে যেতে নয় তুমিতো এসেছো
ফোটাতে হাজার ফুল।
মনে রেখো মেয়ে ভুল করলে
গুনতে হয় মাশুল।