সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

চরফ্যাশনে পাওনা টাকা চাওয়ায় “ধর্ষণ চেষ্টা” মামলায় হয়রানির অভিযোগ!

চরফ্যাশনে পাওনা টাকা চাওয়ায় “ধর্ষণ চেষ্টা” মামলায় হয়রানির অভিযোগ!

0 Shares

চরফ্যাশন প্রতিনিধি: পাওনা টাকা চাওয়ায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগ করেন মামলার বিবাদী হেলাল উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জাহানপুর পাঁচকপাট মৎস্যঘাটে মৎস্য ব্যবসা করেন। অভিযোগকারী মামলার বিবাদী উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড ওমরাবাজ গ্রামের বাসিন্দা মৃত জহির উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৭২৮নং পিটিশনের বাদি ওই নারী জাহানপুর ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার জেলে স্বামীর কাছে দাদন দেয়া বাবদ ১৩লাখ টাকা চাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দিয়ে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও দাদনের ১৩ লাখ টাকা না দেয়ার উদ্দেশ্যে হয়রানি করছে।

জানা যায়,ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন চৌধুরী মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে শনিবার (২৮নভেম্বর) সন্ধ্যায় শশিভূষণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত ওই অভিযোগে হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদির জেলে স্বামী ইলিশসহ অন্যান্য মাছ তার গদিতে দেয়ার শর্তে ১৩ লাখ টাকা দাদন চায়। ভুক্তভোগী হেলাল রাজি হয়ে স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ২৪নভেম্বর ২০১৮ সালে এক চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ওই নারীর জেলে স্বামীকে ১৩লাখ টাকা দাদন দেন। লিখিত অভিযোগে হেলাল উদ্দিন আরো দাবি করেন, দাদনের ওই টাকা নিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ দিয়ে ঘাটে ট্রলার রেখে ওই জেলে লাপাত্তা হয়ে যান। পরে বিষয়টি হেলাল উদ্দিন স্থানিয় মৎস্য আড়ৎ সমিতির সভাপতি আলি আকবর ফরাজিকে অবহিত করলে ১৩লাখ টাকা দাদন নেয়া ওই জেলেকে শালিস ফয়সালায় বসতে বললেও ওই জেলে কালক্ষেপন করে ফয়সালায় না বসে তার স্ত্রীকে দিয়ে গত ১২নভেম্বর ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে হেলালের বিরুদ্ধে একটি মামলা দয়ের করেন। যার নং ৭২৮। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯অক্টোবর শুক্রবার রাত ১২টায় ঘটনাস্থল ৯নং ওয়ার্ডে ওই নারীর বসত ঘরে হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বসতঘরের টিন ছুটিয়ে ওই নারীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। এদিকে ওই নারী “ভোলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে’র ৭২৮ নং পিটিশনে এবং স্থানিয় সংবাদকর্মীদের কাছেও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করলেও ওই পিটিশন/মামলা সংক্রান্ত এফিডেভিটে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী ওই নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক “ধর্ষন করলে” তিনি ১১অক্টোবর শশিভূষণ থানায় মামলা করতে গেলে থানাপুলিশ তার মামলা না নেয়ায় তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্মরণাপন্ন হন বলে উল্লেখ করেন। এঘটনা নিয়ে জাহানপুরের পাঁচকপাট এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ওই নারীর প্রতিবেশি রহিমা বেগম জানান, মামলার বাদি ওই নারী তার স্বামীর সাথে হেলাল চৌধুরীর দেয়া দাদনের টাকা লেনদেনের বিষয়টি যদি বাঁদ দেয়া হয় তাহলে দায়েরকৃত “ধর্ষণের চেষ্টা” মামলাটি উঠিয়ে নিবেন বলে প্রতিবেশি রহিমা বেগমকে মোবাইল ফোনে জানান বলে দাবী করেন। এছাড়াও ফোন কলেরও একটি রেকর্ড ডকুমেন্ট পাওয়া যায় বলে হেলাল উদ্দিন চৌধুরী দাবি করেন। ধর্ষণ চেষ্টায় দায়েরকৃত মামলার বাদি নারীর সঙ্গে তার স্বামীর দাদন নেয়া ১৩ লাখ টাকার বিষয়ে কথা বললে ৩সিজনের মাছের উপরে নেয়া জালসহ ৬ লাখ টাকার কথা সংবাদকর্মীদের কাছে শিকার করেন। তবে ওই নারী বলেন, ৬ লাখ টাকার জাল ও আনুসঙ্গিক পণ্য সামগ্রী হেলাল উদ্দিন চৌধুরী দিলেও পরে হেলাল উদ্দিন তা আবার নিয়ে যান। এ বিষয়ে শশিভূষণ থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী শনিবার সন্ধ্যায় থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap